আন্তর্জাতিক ডেস্ক : খুনের অপরাধে যাবজ্জীবন সাজা পেয়েছিলেন। গোপনে ওই বন্দির হাতে এসেছিল মোবাইল ফোন। কর্মকর্তাদের রুটিন চেকআপের সময় বিপদে পড়ে যান ওই ব্যক্তি। জেলের কর্মীদের থেকে বাঁচতে ফোনটিকে অন্য কোথাও লুকানোর বদলে গিলে ফেলে ওই কয়েদি!
শুধু তাই নয় সেভাবেই ২০ দিন কাটিয়েও দিয়েছিলেন । কিন্তু তারপরেই পেটে অসহ্য ব্যাথা শুরু হয় তার। অসহ্য পেটের যন্ত্রণায় আর পার পায়নি সে। জেলের কর্মকর্তারা হাসপাতালে নিয়ে গেলে রহস্য ফাঁস হয়। মোবাইলটি অপসারণ করার জন্য অস্ত্রোপচার করা হয় ওই ব্যক্তির দেহে।
ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের শিবমোগা কারাগারে সম্প্রতি এমন কাণ্ড ঘটেছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ৩৮ বছর বয়সী পরশুরাম জেল কর্মীদের কাছে গুরুতর পেটব্যথার অভিযোগ করলে তারা তাকে শিবমোগার ম্যাকগান টিচিং জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাকে অস্ত্রোপচারের জন্য বেঙ্গালুরুর ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। যখন আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যানিং করা হয়, ডাক্তাররা তার পেটের ভিতরে একটি ইলেকট্রনিক গ্যাজেট দেখেন এবং গ্যাজেটটি অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন।
৭৫ মিনিটের জটিল অস্ত্রোপচারের পরে অন্ত্রের শুরুতে তার পাইলোরাসের ভেতরে একটি মোবাইল পাওয়া যায়। চিকিৎসকরা মোবাইলের কীপ্যাড খুলে ফেলেন এবং জানান যে, পরশুরাম প্রায় ২০ দিন ধরে মোবাইলটি পেটের মধ্যে রেখেছিলেন।
মোবাইলটি পাকস্থলীর পাইলোরাসে আটকে থাকায় এটি মলত্যাগের মাধ্যমে বের হতে পারেনি। তাই, অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন ছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। জেলে মোবাইল রাখার অভিযোগে পরশুরামের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
কিউটিভি/অনিমা/০৫ মে ২০২৪,/বিকাল ৫:৪৩