ডেস্ক নিউজ : বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ৩৭তম এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলনে খাদ্য ও পানি সংরক্ষণ এবং খাদ্য অপচয়রোধ শীর্ষক সেশনে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, কৃষিতে বর্তমান সরকারের এখন অগ্রাধিকার হলো ফসলের সংগ্রোত্তর নষ্ট ও অপচয়ের বিশাল পরিমাণ কমিয়ে আনা। সে লক্ষ্যে সরকার ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষকদের কৃষিযন্ত্র দিয়ে যাচ্ছে এবং বহুমুখী হিমাগার নির্মাণ, বহু ফসলের সমন্বিত সংরক্ষণাগার নির্মাণ ও শাকসবজি পরিবহনে রেফ্রিজারেটেড ভেহিকল দেয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে। পাশাপাশি দেয়া হচ্ছে কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণে গুরুত্ব।
খাদ্য নষ্ট ও অপচয়ের পরিমাণ কমাতে ফসল তোলা, মাড়াই, পরিবহন ও সংরক্ষণে বিশাল বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, সরকার গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে; তারপরও এসব খাতে বেসরকারি ও বিদেশি বিশাল বিনিয়োগ প্রয়োজন। আমরা এখন সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) অগ্রাধিকার দিচ্ছি। বিদেশি বিনিয়োগ আনার বিষয়ে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থাও (এফএও) সহযোগিতা করতে পারে।
অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. মাহমুদুর রহমান এবং এফএওর বাংলাদেশ প্রতিনিধি জিয়াওকুন শি উপস্থিত ছিলেন। এর আগে এদিন সকালে মন্ত্রী একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কলম্বোর ইন্ডিপেনডেন্স স্কয়ারে বাংলাদেশ হাইকমিশন, শ্রীলঙ্কা এবং শ্রীলঙ্কার শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
এ ছাড়া মন্ত্রী জাপানের কৃষি, বন ও মৎস্য প্রতিমন্ত্রী সুজুকি নোরিকাজু এবং মালয়েশিয়ার কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা মন্ত্রী মোহাম্মদ সাবুর সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন।
কিউটিভি/আয়শা/২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪/সন্ধ্যা ৬:৩৪