
ডেস্ক নিউজ : যার মাধ্যমে জাতিসংঘের প্রণীত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অধীনে দারিদ্র্য নিরসন ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট মোকাবিলা সম্ভব হবে। এই লক্ষ্যে ওই তহবিল থেকে স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে স্বল্পসুদে কিংবা নামমাত্র সুদে অর্থ সহায়তা দেয়া হবে।
নেপথ্যে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা
বিশ্বের উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা দিতে এই ধরনের প্রস্তাব গত কয়েক বছর ধরে আলোচনায় উঠে আসে। তবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিশ্বব্যাংকের বর্তমান প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা গত বছরের জুনে তার দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকেই মূলত দ্রুত হয় এ ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণের কার্যক্রম। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর জন্য এই তহবিল গঠনের প্রস্তাবকে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট হিসেবে অজয় বাঙ্গার জন্য একটি সাফল্য হিসেবেই দেখা হচ্ছে। এই তহবিলের মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহজ শর্তে আরও বেশি করে ঋণ সুবিধা দেয়ার কথা জানানো হয় প্রস্তাবনায়।
বিশ্বের অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে চীনের উত্থান এবং বেল্ট অ্যান্ড রোডসহ চীনের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা এ ধরনের উদ্যোগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গত এক দশক ধরেই নিজেদের সহায়তা ও ঋণদান কর্মসূচির সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে আসছিল পশ্চিমা দেশগুলো নিয়ন্ত্রিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় আর্থিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা বিশ্বব্যাংক। তারই ধারাবাহিকতায় এই তহবিল গঠনের উদ্যোগ বলে জানায় বিশ্বব্যাংক।
চীনকে ঠেকানোই এই ঋণ তহবিলের উদ্দেশ্য?
অনেক দিন ধরেই নিজেদের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ বা বিআরআইয়ের মাধ্যমে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোকে আকর্ষণীয় শর্তে ঋণ দিয়ে আসছে চীন। যদিও পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোর দাবি, এর মাধ্যমে মূলত এসব দেশকে ঋণের ফাঁদে ফেলে নিজের স্বার্থ উদ্ধার করছে বেইজিং। তবে চীনের দেয়া ঋণ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর সামনে আর্থিক সহায়তা লাভের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক কিংবা আইএমএফের পূর্বের একচেটিয়া প্রভুত্বের বিকল্পের সন্ধান দেয়। এ পরিস্থিতি ঋণদানের মাধ্যমে বিশ্বের দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া দেশগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তারের চীনা নীতির বিপরীতে পাল্টা কোনো আর্থিক কর্মসূচির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা ব্লক। মূলত এই প্রয়োজনীয়তার অংশ হিসেবেই দারিদ্র্য নিরসন কিংবা জলবায়ু পরিবর্তন সংকট মোকাবিলার নাম করে বিশ্বব্যাংকের এই নতুন তহবিল গঠনের তোড়জোড় বলে মনে করা হচ্ছে।
তহবিলে উপকৃত হবে বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলো
এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে বিশ্বের ঋণদাতা সংস্থাগুলোর ঋণ কাঠামোর আমূল সংস্কারের পাশাপাশি উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে ঋণ দেয়ার হারও বাড়ানো প্রয়োজন, বিশেষ করে এক্ষেত্রে স্বল্প সুদহার কিংবা প্রায় বিনাসুদে ঋণদানের ব্যবস্থাপনাও প্রয়োজন। এর অংশ হিসেবেই প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়ার প্রস্তাবনা উঠে আসে বিশ্বব্যাংকের ডেভেলপমেন্ট কমিটির প্রস্তাবনায়।
কিউটিভি/আয়শা/২৬ জানুয়ারী ২০২৪,/বিকাল ৪:৪২






