
ডেস্কনিউজঃ অবরোধ কর্মসূচির সমর্থনে আয়োজিত মিছিলে ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ কে কিবরিয়া স্বপন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। একই কর্মসূচিতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলামও গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বিএনপির আরও কয়েকজন নেতাকর্মী।
আজ বুধবার বেলা ১২টার দিকে ফরিদপুর-ঢাকা মহাসড়কের বাহিরদিয়া ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
বিএনপির অভিযোগ, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগে নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেলে করে এসে তাদের মিছিলে হামলা ও গুলি করে। এতে তাদের দুজন নেতা গুলিবিদ্ধ ও অনেকে আহত হন।
তবে বিএনপির কর্মসূচিতে গোলাগুলির বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশব্যাপী অবরোধের সমর্থনে আজ বুধবার বেলা ১২টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কোমরপুরে বাহিরদিয়া ব্রিজের কাছে মিছিল বের করে ফরিদপুর জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি শুরুর পরপরই ধুলদীর দিক থেকে ৩০ থেকে ৪০টি মোটরসাইকেলে করে একদল যুবক এবং ফরিদপুরের দিক থেকে এসে ১৫ থেকে ২০ জন যুবক হামলা চালান। এতে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় তারা গুলি ছোড়ে। এতে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব একে কিবরিয়া স্বপন ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন। এ ছাড়া জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শাহরিয়ার শিথিল, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি শামীম খান কায়েস ও অনিক খান জিতু, প্রচার সম্পাদক মাহিদুল ইসলাম স্মরণ, জাহিদুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন আহত হন।
ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোদাররেস আলী ইছা বলেন, দেশব্যাপী ডাকা অবরোধের সমর্থনে মিছিল বের করেছিল বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ সময় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মোটরসাইলে এসে মিছিলে হামলা করে এবং গুলি ছোড়ে। এতে ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব একে কিবরিয়া স্বপন ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন। এ ছাড়া জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেনের বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি করেছে। জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে।
ফরিদপুর জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেনের স্ত্রী রুপসী আক্তার বলেন, দরজা ভেঙে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সদস্যরা ঘরে প্রবেশ করেন। পরে তারা ঘর ও চারপাশে ব্যাপক তল্লাশি চালায়।
বিএনপির এক নেতা জানান, এ হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগ ও সেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মীরা জড়িত। হামলায় আহতরা গ্রেপ্তার এড়াতে গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার ওসি এমএ জলিল বলেন, ‘কোমরপুরের বাহিরদিয়া ব্রিজের নিকট কোনো পিকেটিং বা গুলির বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভের জন্য জড়ো হয়েছিল। বিষয়টি আমরা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেই।’
বিপুল/০১.১১.২০২৩/ রাত ৮.৪৫