ব্রেকিং নিউজ
আমেরিকায় সর্বাধুনিক হেলিকপ্টার আবিস্কার করলেন বাংলাদেশী বিজ্ঞানী দূতাবাসকর্মীদের নিরাপত্তার ইস্যুতে ঢাকাকে ওয়াশিংটনের বার্তা দ্বিতীয় স্ত্রীকে অস্বীকারঃ আক্কেলপুরের ইউএনও আরিফুলকে ওএসডি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশ খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে হাসপাতাল খুঁজছে পরিবার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নারীদের অংশগ্রহণ নিঃসন্দেহ ঐতিহাসিক : মির্জা ফখরুল এবার ১০ ব্যক্তির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পৌঁছেছে ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় নিহত ৫২

সরকারের হিংস্রতা রাজপথে,কারাগারে সমভাবে বিরাজমান : রিজভী

superadmin | আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৩ - ০১:২৬:৩১ এএম

ডেস্কনিউজঃ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহা সচিব এডঃ রুহুল কবির রিজভী গত মঙ্গলবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, কেরানীগঞ্জ থেকে মুক্তি লাভ করেন। প্রায় চার মাস তথা ১৪০ দিন পর গতকাল বিকেলে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান রুহুল কবির রিজভী। ঈদের আগেই ৫০ মামলার সবকটিতেই জামিন পেয়েছিলেন তিনি।

বিগত ৭ই ডিসেম্বর ২০২২ খ্রিস্টাব্দে বিএনপির দলীয় কার্যালয় নয়াপল্টনে ১০ই ডিসেম্বরের ঢাকা বিভাগীয় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ -বিএনপি সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে প্রায় চার শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহা সচিব দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব প্রাপ্ত এডঃ রুহুল কবির রিজভীকেও গ্রেফতার করা হয়।

এরপরে বিএনপি দলীয় সকল দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তির আন্দোলন সারাদেশে লক্ষ্য করা গেলেও এডঃ রুহুল কবির রিজভীর মুক্তি আন্দোলনে ”রিজভী মুক্তি পরিষদ” এর আন্দোলন ও বিভিন্ন কার্যক্রম ছিল ব্যতিক্রম। পোস্টারিং, লিফলেট বিতরণ, ব্যানার ফেস্টুন লাগানো, মানব বন্ধন, প্রতিবাদ মিছিল ও তার অসুস্থতায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠান করতে দেখা গিয়েছিল।

গতকাল দুপুরে এডঃ রুহুল কবির রিজভীর ঢাকাস্থ আদাবরের ঢাকা হাউজিং এর বাস ভবনে ”রিজভী মুক্তি পরিষদ” নেতৃবৃন্দরা সদ্য কারামুক্ত জননেতা রুহুল কবির রিজভীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে অভিনন্দন জানায়। এডঃ রুহুল কবির রিজভীর মুক্তি আন্দোলনকে বেগবান করতে রিজভী মুক্তি পরিষদের কার্যক্রম ছিল সারাদেশ ব্যাপী, মহানগর, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত।

অনাড়ম্বর এই অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, শুধু রাজপথেই নয়, কারাগারেও সরকারের হিংস্রতা বিরাজমান। । তিনি বলেছেন, ‘সেখানে রাজবন্দিরা অমানবিক জীবনযাপন করছেন। আমাকে একা একটি প্রিজন ভ্যানে দাঁড়িয়ে আদালতে আনা হতো। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। গাড়ি ব্রেক করলে আমি পড়ে যেতাম। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে আমার জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়।’ তিনি আরও বলেন, তীব্র শীতে খোলা কারা কক্ষে নিদারুন কষ্ট পেয়েছি।

তিনি রিজভী মুক্তি পরিষদের নেতাকর্মী ছাড়াও দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীরা আজ অনেক বেশি উজ্জীবিত। এই সরকার জুলুম-অত্যাচার করে নেতাকর্মীদের দমিয়ে রাখতে পারেনি। আজকে যে লড়াই সেটি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই, বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার লড়াই। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে যে আন্দোলন হচ্ছে, তারই প্রতিফলন আজ আমি দেখতে পাচ্ছি। ‘এই লড়াই কোনো ব্যক্তি বা দলের জন্য নয়। এটি দেশ বাঁচানোর লড়াই, একনায়কতন্ত্র থেকে মুক্ত হওয়ার লড়াই।’

রিজভী আক্ষেপ করে বলেন, ‘ঈদের আগে আমি সবকয়টি মামলায় জামিন পেলেও ঠুনকো অজুহাতে আমাকে মুক্তি দেওয়া হয়নি, পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ করতে দেওয়া হয়নি।’ আটকের পর থেকে পরিবারের খোঁজ-খবর রাখার জন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

এই সময় রিজভী মুক্তি পরিষদের আহবায়ক, কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির জোষ্ঠ্য সহ-সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সদস্য সচিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা ও কুড়িগ্রাম-২ আসনে বিএনপির সাবেক এমপি প্রার্থী লুৎফর রহমান ও রিজভী মুক্তি পরিষদের অন্যতম নেতা ,বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদ্য, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডঃ গাজী কামরুল ইসলাম সজল, কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক মোখলেসুর রহমান, পটুয়াখালীর বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান মনির, বরিশাল উত্তর যুবদলের সদস্য সচিব মাসুদ ও কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনির সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

এই আনুষ্ঠানিকতার আগে ও পরে উপস্থিত ছিলেন রিজভীর স্ত্রী আরজুমান আরা বেগমসহ বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, আব্দুস সালাম আজাদ, মীর সরফত আলী সপু, অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ডা. রফিকুল ইসলাম, অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া, আসাদুল করিম শাহীন, অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, আমিনুল হক, তানভীর আহমেদ রবিন, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, আমিনুল ইসলাম, তারিকুল আলম তেনজিং, ঢাকা জেলার সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, মৎস্যজীবী দলের মো. আবদুর রহিম, ওমর ফারুক পাটোয়ারী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের নেতা কাদের গনি চৌধুরী, রাশেদুল হক, বাছির জামাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, , যুবদলের মেহবুব মাসুম শান্ত, সোহেল আহমদ, ছাত্রদলের সাবেক নেতা ওমর ফারুক কাওসার, ঢাবি ছাত্রদলের রাজু আহমেদসহ অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

কিউটিভি/ বিপুল/ ২৭.০৪.২০২২/ রাত ৯.৫০

▎সর্বশেষ

ad