
ডেস্ক নিউজ : ইসলামী শরিয়াতে সাওম বা রোজার বিধান প্রবর্তনের ক্ষেত্রে অনেক হেকমত ও উপকারিতা রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো-
১. সিয়াম সাধনার মাধ্যমে তাকওয়া বা আল্লাহভীতি অর্জিত হয়।
২. ইহা মহান রবের নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের অন্যতম মাধ্যম।
৩. এর মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলার অফুরন্ত রহমত লাভ করা যায়।
৪. জাহান্নাম থেকে মুক্তির উপায়।
৫. সিয়ামের দ্বারা ব্যক্তির চরিত্র বিধ্বংসী কুপ্রবৃত্তির দমন হয়।
৬. সাওম দ্বারা ব্যক্তির চক্ষু, কর্ণ, জিহ্বা ও লজ্জাস্থান প্রভৃতি নিয়ন্ত্রিত থাকে।
৭. আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হয়।
৮. শরীরের জন্য ক্ষতিকর জিনিসগুলো ধ্বংসের মাধ্যমে শারীরিক সুস্থতা আনয়ন করে।
৯. সাওম দ্বারা অন্তরের যাবতীয় কুটিলতা দূর হয়।
১০. রোজাদার-কে যাবতীয় খারাপ কাজ ও আচরণ হতে বিরত থাকতে অভ্যস্ত করে তোলে।
১১. শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে হেফাজত করে।
১২. সিয়াম সাধনার ফলে ধনীর অন্তরে দরিদ্রের জন্য সহানুভূতি জাগিয়ে তোলে এবং দরিদ্রকে সহযোগিতা করার মানসিকতা তৈরি হয়।
১৩. সাওম পালনের মাধ্যমে নিজ গুনাহসমূহের ক্ষমা পাওয়া যায়। যেমন- হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত রাসুল -সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে ও সওয়াবের আশায় সিয়াম পালন করে, তার পূর্বাপর গুনাহগুলোকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (সহিহুল বুখারি ও সহিহ মুসলিম)।
১৪. ইহা বিশ্বমুসলিম সমাজে সাম্য, মৈত্রী, ভ্রাতৃত্ব ও ভালোবাসার সৃষ্টি করে।
১৫. সিয়াম সাধনার মাধ্যমে আত্মশুদ্ধিসহ ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার গুণাবলি অর্জিত হয়।
১৬. জান্নাত লাভের এক উত্তম মাধ্যম। হাদিসে এসেছে: ‘জান্নাতের আটটি দরজা রয়েছে, এর মধ্যে একটি দরজার নাম হচ্ছে রাইয়্যান। যা দিয়ে একমাত্র রোজাদাররাই প্রবেশ করবে।’
১৭. স্রষ্টার সান্নিধ্য লাভের অন্যতম মাধ্যম। যেমন হাদিসে কুদসিতে এসেছে- ‘আল্লাহ তায়ালা বলেন, রোজা শুধু আমার জন্য, আমিই এর প্রতিদান দেব।’
১৮. পাপাচার ও অন্যায় কাজ হতে বিরত রাখে। রাসুল -সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- বলেন: যে ব্যক্তি মিথ্যা বলা ও সে অনুযায়ী আমল বর্জন করেনি, তার পানাহার ত্যাগ করায় আল্লাহ তা’আলার কোনো প্রয়োজন নেই’ (সহিহুল বুখারি: ১৯০৩)।
১৯. মহান রবের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনে অনুপ্রাণিত করে।
কিউটিভি/অনিমা/০৪ এপ্রিল ২০২৩,/দুপুর ২:০৮