
ডেস্ক নিউজ : দেখতে দেখতে সালমান ৫৭টি বসন্ত পার করলেও এখন অবধি বিয়ে করেননি। কিন্তু এক সময় তিনি বিয়ে করতে চাইতেন। কফি উইথ করণ শো-তে সে আক্ষেপ করতে দেখা গেছে ভাইজানকে। করণের মঞ্চে সালমান বলেছিলেন, ‘একটা সময় ছিল, যখন আমি সত্যিই বিয়ে করতে চাইতাম। কিন্তু সবাই মনে করত যে, আমি প্রেমিক হিসেবেই ঠিক আছি। আমায় বিয়ে করা মানে সারা জীবন সহ্য করা। তা খুব কঠিন কাজ।’
এই আক্ষেপের কারণও কিন্তু বেশ জোরালো। ১৯৯৪ সালে হবু বউয়ের প্রতি আক্ষেপ করেই এমনটা বলেছিলেন সালমান, এমনই মনে করেন নেটিজেনরা। নব্বইয়ের দশকে সালমান খানের বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে অভিষেক ঘটে। তবে তার আগে থেকেই মডেলিং সূত্রে সঙ্গীতা বিজলানির সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে সালমানের। তবে দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এ বন্ধুত্ব ভালোবাসায় রূপ নেয়। ১৯৮৬ সালে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান এ দুই বলি তারকা।
দীর্ঘ আট বছর প্রেমের সম্পর্কের পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন এ জুটি। সে অনুযায়ী বিয়ের কার্ডও ছেপেছিলেন সল্লু ভাই। কিন্তু বিয়ের মাত্র এক মাস আগে সালমানের পরকীয়ার খবর সঙ্গীতার কানে পৌঁছালে তিনি সে বিয়ে ভেঙে দেন।ওই সময় সালমান পাকিস্তানি-আমেরিকান অভিনেত্রী সোমি আলির সঙ্গে পরকীয়ায় থাকায় বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন সঙ্গীতা। সালমানের সঙ্গে বিচ্ছেদের দুই বছরের মাথায় ১৯৯৬ সালে সঙ্গীতা সুখের ঘর বাঁধেন ক্রিকেটার আজহারউদ্দিনের সঙ্গে।
বিয়ের ১৪ বছর পর ২০১০ সালে আজহারের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় সঙ্গীতার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আজহার ও সালমানের সঙ্গে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে সঙ্গীতা বলেছেন, ‘কারো সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া মানেই তার ওপর রাগ বা অভিমান করে থাকার কোনো মানে হয় না। এমন একটা সময় ছিল, যখন আমি খুব বোকা ছিলাম। শিশুর মতো ছিলাম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমিও পরিণত হয়েছি। জীবন যে অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণ, তা বুঝতে শিখেছি।’অনেকটা পরিণত সঙ্গীতা তাই সালমানের ৫৭তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ ফিরিয়ে দেননি। উপস্থিত হয়েছিলেন সে অনুষ্ঠানে।
অনুষ্ঠানে সঙ্গীতা উপস্থিত হয়েছেন দেখে বলিউড ভাইজান ছুটে এসেছিলেন সঙ্গীতার কাছে। জড়িয়ে ধরে কপালে চুমুও এঁকেছিলেন। ওই আবেগঘন দৃশ্য পাপারাজ্জিদের ক্যামেরার লেন্সে ধরা পড়ে, যা এখন নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। সেই সঙ্গে ভাইরাল হয়েছে সঙ্গীতার একটি পুরোনো সাক্ষাৎকারও। যেখানে সঙ্গীতা বলেছেন, ‘জীবন স্থিতিশীল নয়। সারা জীবনের সঙ্গী কেউ হতে পারে না। কিন্তু সম্পর্কের সুতো আদতে ছিঁড়ে যায় না। যোগাযোগ থেকেই যায়। স্কুলের বন্ধু হোক বা প্রেমিক, অনুভূতিগুলো থেকেই যায়, তা কখনো মলিন হয় না।’
সূত্র: আনন্দবাজার
কিউটিভি/আয়শা/০৩ এপ্রিল ২০২৩,/সন্ধ্যা ৭:০৮