
স্পোর্টস ডেস্ক : আইপিএলের ষোলো আসরে এখন পর্যন্ত দল পেয়েছেন বাংলাদেশের মোট ৭ জন। তাদের মধ্যে লিটন দাস এখনও খেলতেই যাননি। তামিম ইকবাল এক আসরে খেলতে গেলেও তাকে মাঠে নামানো হয়নি কোনো ম্যাচে। শুধু সাকিব আল হাসান এবং মুস্তাফিজুর রহমান নিয়মিত খেলেছেন। দুজনেই আইপিএলে চল্লিশটির বেশি ম্যাচ খেলেছেন। তবে টাইগারদের এমন কিছু ক্রিকেটারও আছেন যারা আইপিএলে খেলতে গিয়ে একটি ম্যাচের বেশি মাঠে নামতে পারেননি। জেনে নেয়া যাক তাদের ব্যাপারে।
১. আব্দুর রাজ্জাক : বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সবার আগে আইপিএলে সুযোগ পান আব্দুর রাজ্জাক। বাঁহাতি স্পিনারকে ২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম আসরেই দলে ভেড়ায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ৫০ হাজার মার্কিন ডলার খরচে রাজ্জাককে কিনলেও মাত্র একটি ম্যাচেই তাকে মাঠে নামিয়েছিল দলটি। সে ম্যাচে তার পারফরম্যান্সও অবশ্য মোটেই সন্তোষজনক ছিল না। ২ ওভারে ২৯ রান দিয়ে কোনো উইকেট না পাওয়ায় পরবর্তীতে আর কোনো ম্যাচে সুযোগ মেলেনি রাজ্জাকের।
২. মাশরাফী বিন মর্তুজা : ২০০৯ সালে একই সাথে বাংলাদেশের দুই তারকা ক্রিকেটার দল পান আইপিএলে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। আইপিএলের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার ম্যাশ। ৬ লাখ মার্কিন ডলারে তাকে দলে টেনেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তবে মাশরাফির প্রতিও ভাগ্য খুব একটা সহায় হয়নি। ব্রেন্ডন ম্যাককালামের নেতৃত্বাধীন দলে মাত্র এক ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। সেই ম্যাচে প্রথম তিনটা ওভার দুর্দান্ত বল করলেও শেষ ওভারে গুবলেট পাকিয়ে ফেলেন ম্যাশ। শেষ ওভারে যখন জয়ের জন্য ২১ রান দরকার ছিল ডেকান চার্জার্সের, সেই ওভারে দলকে জেতাতে পারেননি মাশরাফি। পরবর্তীতে আর কোনো ম্যাচে সুযোগ পাননি ম্যাশ।
৩.মোহাম্মদ আশরাফুল : বাংলাদেশের একসময়ের তারকা ব্যাটার মোহাম্মদ আশরাফুল মাশরাফীর সঙ্গে ২০০৯ সালে সুযোগ পেয়েছিলেন আইপিএলে। সেসময় শচীন টেন্ডুলকারের দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলেন আশরাফুল। তাকে ৭৫ হাজার মার্কিন ডলার দিয়ে কিনেছিল মুম্বাই। দিল্লির বিপক্ষে ম্যাচে ১০ বলে ২ রান করেন আশরাফুল। পরের ম্যাচেই পরেন বাদ। এরপর আর ফিরতেই পারেননি একাদশে।
এই তিনজন ছাড়া ২০১২ সালে ৫০ হাজার মার্কিন ডলারে তামিম ইকবালকে দলে টেনেছিল পুনে ওয়ারিয়ার্স। তবে একটি ম্যাচও খেলতে পারেননি তিনি। ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো আইপিএলে দল পান সাকিব। সেবার তাকে ১ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে দলে নিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে পরের নিলামেও তাকে ধরে রাখে দলটি। ৬টি মৌসুম কলকাতার জার্সিতে খেলার পর সাকিব যোগ দেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। খেলেন দুটি মৌসুম। এরপর ২০২১ সালে আবারও কলকাতায় ফেরেন সাকিব। সেবার হতাশাজনক পারফরম্যান্সের কারণে ২০২২ আসরে দলই পাননি সাকিব। সব মিলিয়ে ৯ মৌসুমে ৭১টি ম্যাচ খেলে ব্যাট হাতে ৫২ ইনিংসে ১৯.৮২ গড়ে ৭৯৩ রান করেছেন সাকিব। আর বল হাতে পেয়েছেন ৬৩ উইকেট।
২০১৬ সালে প্রথমবারে মতো আইপিএলে দল পান পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। আর প্রথম আসরেই নজর কাড়েন বাঁহাতি এই পেসার। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের শিরোপা জয়ে অন্যতম ভূমিকা ছিল এই ক্রিকেটারের। ১৬ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১৭ উইকেট। এরপর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও রাজস্থান রয়্যালসের জার্সিতে খেলেছেন মুস্তাফিজ। এখন পর্যন্ত ৪৬ ম্যাচ খেলে মুস্তাফিজ নিয়েছেন ৪৬ উইকেট।
কিউটিভি/আয়শা/০৩ এপ্রিল ২০২৩,/সন্ধ্যা ৭:০০