
স্পোর্টস ডেস্ক : ২০০৮ সালের পর রাজনৈতিক বৈরী সম্পর্কের কারণে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে পাকিস্তানি ক্রিকেটার নিষিদ্ধ করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। তবে এখনো দিব্যি আইপিএল খেলে যাচ্ছেন বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি। শুনে অবাক হতে পারেন। তবে সত্যতাও আছে এর। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের দ্বৈরথ দেখতে গোটা বিশ্ব মুখিয়ে থাকে। কিন্তু রাজনৈতিক বৈরী সম্পর্কের কারণে ক্রিকেট বিশ্ব বঞ্চিত সবচেয়ে আকর্ষণীয় মহারণ থেকে। বৈরিতা এতটাই গড়িয়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের। যদিও শুরুর দিকে বিশ্বের সব দেশের ক্রিকেটারই খেলার সুযোগ পেতেন আইপিএলে। শুধু ক্রিকেটারই নয়, পাকিস্তানি কোচিং স্টাফদেরও দেখা গেছে আইপিএলে। ততে সেই পথ বন্ধ হয়ে গেছে ২০০৮ থেকে।
তবে এর মাঝেও আইপিএল খেলে যাচ্ছেন বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি ক্রিকেটার। একজনকে নিয়ে তো রীতিমতো কাড়াকাড়ি চলে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের। অলরাউন্ডার মঈন আলী। জন্ম বার্মিংহ্যামে হলেও, তার পূর্ব পুরুষরা ছিলেন পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীরের বাসিন্দা। মঈনের বেড়ে ওঠা ইংল্যান্ডে হলেও, উর্দু এবং পাঞ্জাবিতে ভালোই পারদর্শী এই ক্রিকেটার। ইংল্যান্ড জাতীয় দলে খেলার সুবাদে সুযোগ পাচ্ছেন আইপিএল খেলার। আইপিএলে অবশ্য এই অলরাউন্ডারের পারফরম্যান্স নজরকাড়া। এখন পর্যন্ত আরসিবি, চেন্নাই কিংসের হয়ে খেলেছেন ৪৫টি ম্যাচ। যেখানে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৯৩৩ রান। ১৪৩ স্ট্রাইকরেটে ও ২৩.২৩ গড়ে ব্যাট করা এ ব্যাটারের সেরা ইনিংসটি ৯৩ রানের।
বল হাতেও সমান পারদর্শী। ৪৫ ম্যাচে নিয়েছেন ২৪ উইকেট। ইকনোমিটাও নজরকাড়া। মাত্র ৬.৭৯। আরেক ক্রিকেটার আদিল রশিদ। তার জন্ম ইয়র্কশায়ারে। তবে তার পূর্বপুরুষরাও মঈন আলীর মতো কাশ্মীরের বাসিন্দা। ১৯৬৭ সালে পাকিস্তান ছেড়ে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান তারা। ফলে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলে খেলার সুবাদে সুযোগ হয়েছে আইপিএল খেলার। তবে তার ক্যারিয়ারটা খুব বেশি লম্বা নয় আইপিএলে। মাত্র দুই ম্যাচ খেলেছেন।
সিকান্দার রাজা। জন্ম পাকিস্তানের শিয়ালকোটে। বেড়ে ওঠাও সেখানে। পরে অবশ্য নাগরিকত্ব পরিবর্তন করেন। চলে যান জিম্বাবুয়েতে। খেলছেন জিম্বাবুয়ের হয়ে। সেই সুবাদে এবার প্রথমবার সুযোগ পেলেন আইপিএলে। খেলছেন পাঞ্জাব কিংসের হয়ে।
কিউটিভি/আয়শা/০৩ এপ্রিল ২০২৩,/বিকাল ৫:০০