রমজান মাস ফজিলতপূর্ণ হওয়ার কারণ

uploader3 | আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৩ - ০৪:৫২:১৫ পিএম

ডেস্ক নিউজ : কোরআন ও হাদিসের আলোকে এটি সম্মানিত মাস হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। যেমন-

এটি কোরআন মাজিদ নাজিলের মাস: পবিত্র রমাদান মাসে আল্লাহ তা’আলা মানুষের জন্য হেদায়াতের আলোকবর্তিকা স্বরূপ কোরআনুল কারিমে নাজিল করেন। “রমাদান হলো সে মাস, যাতে নাজিল করা হয়েছে আল কোরআন। যা মানুষের জন্য হেদায়াত এবং সত্যপথযাত্রীদের জন্য সুস্পষ্ট নিদর্শন। আর সত্য-মিথ্যার মাঝে পার্থক্যকারী’’ (সূরা বাক্বারাহ: ১৮৫)।

বরকতময় মাস : মাহে রমাদান বড়ই বরকতময় মাস। এ সম্পর্কে হাদিস এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা -রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু- থেকে বর্ণিত, রাসুল -সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- বলেন: ‘তোমাদের কাছে রমাদান আসছে, এটি বরকতময় মাস’ (সুনানে নাসায়ি)।

রমাদান মাসের ইবাদতের তাৎপর্য অত্যধিক : এ মাসের ইবাদতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে হাদিস শরিফে আছে, রাসুল -সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- বলেন: ‘যে ব্যক্তি এ মাসে একটি নফল আমল করল, সে যেন অন্য মাসের একটি ফরজ আমল করল। আর যে এ মাসে একটি ফরজ আমল করল, সে যেন অন্য মাসের সত্তরটি ফরজ আমল করল’(বায়হাক্বি)।

এ মাসে জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয় : রমাদান মাসের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। হাদিস শরিফে বর্ণিত রয়েছে- ‘যখন রমাদান আসে, তখন রহমতের (জান্নাতের) দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর শয়তানকে বন্দী করা হয়” (সহিহ মুসলিম)।

মাহে রমাদানে ওমরাহ পালনে হজের সওয়াব পাওয়া যায় : রাসুল -সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- ইরশাদ করেন: হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস -রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুমা- হতে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসুল -সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- ইরশাদ করেন: ‘রমাদান মাসের ওমরাহ হজের সমান অথবা বলেন, আমার সঙ্গে হজ করার সমান’ (সহিহুল বুখারি: ১৭৮৬,১৮৬৩ ও সহিহ মুসলিম: ১২৫৬, নাসায়ি: ২১১০, আবু দাউদ: ১৯৯০, ইবনু মাজাহ: ২৯৯৪, আহমাদ: ২০২৬)।

সহনশীলতার মাস : রমাদান মাস রোজাদারকে ধৈর্য ও সহনশীলতার শিক্ষা দেয়। এ মাসে সব ধরনের পানাহারের সুযোগ ও স্ত্রী কাছে থাকা সত্ত্বেও আল্লাহর ভয়ে রোজাদার পানাহার ও সঙ্গম থেকে বিরত থাকে। মহানবী -সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- বলেন: ‘রমাদান ধৈর্যের মাস, আর ধৈর্যের প্রতিদান জান্নাত’।

ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টির মাস: মাহে রমাদনের রোজার মাধ্যমে ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি হয়। ধনী ব্যক্তি উপবাসের মাধ্যমে গরিবের দুঃখ ও অনাহারের কষ্ট উপলব্ধি করতে পারে। একে অপরের সুখ-দুঃখ উপলব্ধির মধ্য দিয়ে পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও সম্প্রীতি সৃষ্টি হয়।

কিউটিভি/অনিমা/০৩ এপ্রিল ২০২৩,/বিকাল ৪:৫২

▎সর্বশেষ

ad