
বিনোদন ডেস্ক : এক পত্রিকার প্রচ্ছদে পুনমের ছবি প্রথম দেখেছিলেন বলিপাড়ার অন্যতম প্রযোজক এবং পরিচালক যশ চোপড়া। পরবর্তী ছবির অভিনেত্রী হিসেবে পুনমকেই পছন্দ করেন যশ। এরপর ‘ত্রিশূল’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য পুনমকে প্রস্তাব দেন তিনি। ১৯৭৮ সালে মুক্তি পায় ‘ত্রিশূল’ ছবিটি। ক্যারিয়ারের প্রথমে তারকাবহুল এ ছবিতে অভিনয় করে বলিপাড়ায় পরিচিতি পেয়ে যান পুনম।
যশের হাত ধরে বলিউডে পা রেখেছিলেন পুনম। তাই যশকে নিজের ‘গুরু’ হিসেবে শ্রদ্ধা করতেন তিনি। যশও চাইতেন যে, তিনি যেন পুনমের ক্যারিয়ার তৈরি করে দেন। এত কম বয়সে ইন্ডাস্ট্রিতে এসে যেন অন্যদিকে মন না যায়, পুনমকে সেই নির্দেশই দিয়েছিলেন যশ। কিন্তু ‘গুরু’র নির্দেশ অমান্য করেন পুনম।
‘ত্রিশূল’ ছবির শুটিং সেটে যশের সহকারী হিসেবে উপস্থিত থাকতেন রমেশ তালওয়ার। পুনমের সঙ্গে বোঝাপড়াও ভাল ছিল রমেশের। এমনকি রমেশ এবং পুনম দুজনকেই সেটের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় একসঙ্গে দেখা যেত। তাদের সম্পর্ক নিয়ে বলিপাড়ায় খবর চালাচালি হলেও দুজনেই তা মিথ্যা বলে হাওয়ায় উড়িয়ে দিতেন। কিন্তু ১৯৮০ সালে রমেশের সঙ্গে পুনমের সম্পর্কের কথা জনসমক্ষে বলে ফেলেন ঋষি কাপুর।
১৯৮০ সালে ‘ইয়ে ওয়াদা রাহা’ ছবির জন্য ফটোশুট করছিলেন ঋষি এবং পুনম। ভালো ছবি তুলবেন বলে আলোকচিত্রীরা ঋষিকে অনুরোধ করেন পুনমকে জড়িয়ে ধরতে। আলোকচিত্রীদের এমন দাবি শুনে চিৎকার করে ওঠেন ঋষি। ঋষি আলোকচিত্রীদের উদ্দেশে চিৎকার করে বলেন, পাগল হয়েছো নাকি তোমরা? ওর কাছাকাছি যাব আমি! ও তো রমেশ তালওয়ারের নিজস্ব সম্পত্তি।’ অভিনেতার মুখে এমন কথা শুনে সবাই চমকে যান। খুব দ্রুত এই ঘটনা বলিপাড়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে ক্যারিয়ারে মন না দিয়ে পুনম যে তারই সহকারীর সঙ্গে লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম করছিলেন তা শুনে পুনমের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে যান যশ। পুনমের সঙ্গে আর কোনো ছবিতে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। যশ যে পুনমের প্রতি রেগে গিয়েছিলেন, তা সবার নজরে ধরা পড়ে। কিন্তু যশের প্রতিক্রিয়ার অন্য অর্থ বের করেন বলিপাড়ার সমালোচকেরা। এমনকি যশের সঙ্গে পুনমের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলেও খবর রটে যায়।
যশের সঙ্গে সম্পর্কে থাকার মিথ্যা খবর রটে যাওয়ার পর পুনম নিজে থেকেই রমেশের সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানেন। রমেশও আর যশের সঙ্গে কোন ছবিতে সহকারী হিসেবে কাজ করেননি।
সূত্র: আনন্দবাজার
কিউটিভি/আয়শা/০১ এপ্রিল ২০২৩,/রাত ১০:৫৮