
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাজসিংহাসনের উত্তরাধিকারী তার বড় ভাই। কিন্তু সিংহাসনের দাবিদার যদি চরম বিপদে পড়েন? অঙ্গহানির মতো গুরুতর সমস্যায় পড়তে হয় যুবরাজকে? সেই ভাবনা থেকেই বাবা-মা তার জন্ম দিয়েছিলেন। সদ্যপ্রকাশিত আত্মজীবনীতে এমন বিস্ফোরক দাবি করেছেন ব্রিটিশ যুরাজ হ্যারি। বড় ভাই উইলিয়ামের প্রয়োজন হলে তার শরীর থেকেই অঙ্গদান করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তার বাবা ব্রিটেনের বর্তমান রাজা তৃতীয় চার্লস, এমনটাই মত হ্যারির। এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই তিনি আত্মজীবনীর নাম রেখেছেন ‘স্পেয়ার’, অর্থাৎ বাড়তি। কারণ রাজপরিবারের কাছে তিনি বাড়তি সদস্য ছিলেন।
গত মঙ্গলবার প্রকাশ হয়েছে যুবরাজ হ্যারির আত্মজীবনী। তারপরেই ব্রিটেনে বই বিক্রির একাধিক রেকর্ড ভেঙেছে স্পেয়ার। সেই বইতেই হ্যারি লিখেছেন, ‘আমার চেয়ে দুবছরের বড় ভাই উইলিয়ামই সিংহাসনের দাবিদার। তাই আমাকে বাড়তি হিসাবে রাখা হয়েছিল। যদি উইলিয়ামের কিছু হয়ে যায়, সেই কথা ভেবেই আমাকে পৃথিবীতে আনা হয়েছিল। সবসময়ই আমি ছিলাম প্ল্যান বি, উইলিয়ামের ছায়া হিসাবেই বেড়ে উঠেছি।’ ব্রিটিশ রাজকুমার আরও বলেছেন, ছোটবেলা থেকেই তাকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় উইলিয়ামের পরিবর্ত হিসাবেই তার জন্ম হয়েছে।
অন্যদিকে, হ্যারির আত্মজীবনী প্রকাশের আগেই একাধিক বিতর্কিত তথ্য ফাঁস হয়েছে। জানা যায়, মেগান মার্কেলের নিন্দা করে যুবরাজ হ্যারিকে মারধর করেছিলেন তার বড় ভাই উইলিয়াম। কলার চেপে ধরে তাকে মাটিতে ফেলে দিয়েছিলেন বড় ভাই উইলিয়াম, এমনটাই দাবি করেছেন হ্যারি। পাশাপাশি বাবা রাজা চার্লসের এক ‘বদ রসিকতা’র কথাও বলেছেন তিনি। হ্যারির দাবি, সেই সময় একটা গুঞ্জন ক্রমেই বাড়ছিল যে তিনি নাকি লেডি ডায়না ও মেজর হিউইটের সন্তান! এহেন গুজব রটছিল বলেই মেজাজ হারিয়েছিলেন চার্লস।
কিউটিভি/আয়শা/১২ জানুয়ারী ২০২৩/রাত ৮:০৪