
ডেস্ক নিউজ : কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আমনে বাম্পার ফলন হয়েছে। আগামী জুন পর্যন্ত চালের কোনো সংকট হবে না বরং ৪২ লাখ টন উদ্বৃত্ত থাকবে। বাম্পার উৎপাদনের পরও কেন চালের দাম কমছে না, তার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে বস্তুনিষ্ঠ গবেষণা প্রয়োজন। ব্রি’র গবেষণায় অনেকগুলো কারণ খুঁজে পাওয়া গেছে।
ব্রি’র পাশাপাশি বিআইডিএস, সিপিডিসহ অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানকেও এ বিষয়ে গবেষণা করা প্রয়োজন। আজ শনিবার সকালে গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ব্রি’র মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর।
মন্ত্রী আরো বলেন, একদিকে জনসংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে কৃষি জমি কমছে। ভুট্টা, শাকসবজিসহ অন্যান্য ফসলেও জমির ব্যবহার বাড়ছে। এজন্য ধান চাষের জমি কমছে। তাই সামনের দিনগুলোতে চালের চাহিদা আরো বাড়বে। এই জটিল পরিস্থিতিতে চালের উৎপাদন বাড়াতে হলে গবেষণায় আরো জোর দিতে হবে।
বক্তব্যে ব্রি’র হাপরিচালক জানান, গবেষণায় দেখা গেছে চালকল মালিকরা কেজিতে ৮-১৪ টাকা লাভ করছে। কৃষকের উৎপাদন খরচও কিছুটা বেড়েছে। এ ছাড়া কর্পোরেট গ্রুপগুলো চালের বাজারে প্রবেশ করে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এসবের প্রভাবে ভরা মৌসুম হলেও চালের দাম কমছে।
কিউটিভি/আয়শা/৩১ ডিসেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৭:০৮