ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিকে নিয়ে পাহাড়সম অভিযোগঃ ১০ মাসেও হয়নি কাউন্সিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম : শিক্ষক,লেখক-সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিম্যান একজনের বিদায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালে উপকৃত হবেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক- ভিসি ড.আমানুল্লাহ ফেরদৌস বাজে ব্যাটিংয়ে ফাইনাল মিস বাংলাদেশের জনস হপকিন্সের সাথে কাজ করবে বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়  মজিদা কলেজে ৪০ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ, তোলপাড় কুড়িগ্রাম খারুয়ার পাড়ে ভাঙ্গনের শব্দ থেমে যাক — বদরুদ্দীন উমর : শিরদাঁড়া বাঁকা করে বাঁকা হয়নি যার কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহবায়ক ভারতীয় নাগরিক, এনআইডি বাতিলে হাইকোর্টের রুল আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা : এইচআর হেডসহ আহত ১৫

ভোজেশ্বর ভূমি অফিসের অবৈধ হাতছানিতে হারিয়ে যাচ্ছে কৃষি ও সরকারী জমি

Anima Rakhi | আপডেট: ১৬ জুন ২০২২ - ০১:২৩:৪১ পিএম

খোরশেদ আলম বাবুল,শরীয়তপুর প্রতিনিধি  : শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার এক তৃতীয়াংশ এলাকা জুড়ে রয়েছে ভোজেশ্বর ইউনিয়ন ভূমি অফিস। এই ভূমি অফিসের কর্মকর্তার অধিক্ষেত্র ভোজেশ্বর, জপসা, ফতেজঙ্গপুর ও বিঝারী ইউনিয়ন এলাকা। এই ভূমি অফিসে বদলী হতে হলে অনেক কাঠ-খড় পোড়াতে হয় কর্মকর্তাকে। অনেক কাঠ-খর পুড়িয়ে তিন বছর ধরে সেই অফিসে দায়িত্ব পালন করে আসছেন মোহাম্মদ খবির উদ্দিন। দায়িত্ব পালনকালে অবৈধভাবে অধিক্ষেত্রের রূপ পরিবর্তণ করে অনেক বেশীই লাভবান হয়েছে এই কর্মকর্তা। এখন তিনি অর্থে-বিত্তে বালিয়ান।

ভোজেশ্বর ভূমি অফিসের অধিক্ষেত্র এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গত তিন বছরে তিন শতাধিক ছোট-বড় পুকুর খনন হয়েছে ফসলি জমিতে। পুকুর, ডোবা, নিচু জমি ও ফসলি জমি ভড়াট হয়েছে চার শতাধিক। সরকারি জায়গা দখল ও ভড়াট হয়েছে অনেক। আর এই সবই হয়েছে ভোজেশ্বর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ খবির উদ্দিনের অবৈধ হাতছানিতে। অবৈধ এই সকল কাজ হয় ছুটির দিন ও রাতের আধাঁরে। তিনি ভূমি উন্নয়ন কর আদায় থেকেও হাতিয়ে নেয় টাকা। বেশীরভাগ নামজারীর প্রতিবেদন দেন দালালের মাধ্যমে চুক্তি করে। এক কথায় রাম রাজত্ব কায়েম করছেন তিনি। দীর্ঘদিন বিনোদপুর, ছয়গাঁওসহ ছোটখাট ভূমি অফিসে চাকুরী করে তেমন সুবিধা গ্রহণ করতে পারেননি তিনি। এবার ভোজেশ্বর ভূমি অফিস থেকে তিন বছরে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার সুযোগ হয়েছে তার। এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চায়নি সে।

ভোজেশ্বরের চান্দনী থেকে মুলফৎগঞ্জের রাস্তা ধরে যেতে যেতে ফতেজঙ্গপুর ইউনিয়নের শেষ পর্যন্ত গেলে দেখা যাবে এই ভূমি কর্মকর্তার ক্ষমতা। এখনও ভড়াট হচ্ছে ফসলী ও সরকারী জমি। খনন হচ্ছে একাধিক পুকুর। আর এই সবই হচ্ছে ভোজেশ্বর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোহাম্মদ খবির উদ্দিনের অবৈধ উদ্যোগে। ভোজেশ্বর বাজারের অনেক খাস জমি এখন মালিকানা জমিতে রূপান্তর হয়েছে। এমনি ভাবে জপসা ও বিঝারী ইউনিয়নের আনাচে কানাচে এই কর্মযজ্ঞ চলছেই। ভূমি অফিসারের সাথে যোগাযোগ করে কাজ করলে কোন সমস্যা হয়না বলে জানায় স্থানীয়রা।

এই বিষয়ে ভোজেশ্বর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ খবির উদ্দিন বলেন, কোথায় কে কি করল তা নিয়ে বসে থাকার সময় নাই তার। তিনি এমনিতেই অনেক কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটান। তবুও বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন তিনি।তবে তার যাতায়াতের পথে চান্দনী বেইলী ব্রিজের পূর্ব পাশে একটি ফসলী জমি ভড়াট চলছে তা এই কর্মকর্তা প্রতিদিন দুই বার দেখেন। কিন্তু আইনী ব্যবস্থ নিতে পারছেন না অবৈধ সুবিধা গ্রহণের কারণে।

কিউটিভি/অনিমা/১৬.০৬.২০২২ খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ১:২৩

▎সর্বশেষ

ad