ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিকে নিয়ে পাহাড়সম অভিযোগঃ ১০ মাসেও হয়নি কাউন্সিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম : শিক্ষক,লেখক-সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিম্যান একজনের বিদায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালে উপকৃত হবেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক- ভিসি ড.আমানুল্লাহ ফেরদৌস বাজে ব্যাটিংয়ে ফাইনাল মিস বাংলাদেশের জনস হপকিন্সের সাথে কাজ করবে বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়  মজিদা কলেজে ৪০ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ, তোলপাড় কুড়িগ্রাম খারুয়ার পাড়ে ভাঙ্গনের শব্দ থেমে যাক — বদরুদ্দীন উমর : শিরদাঁড়া বাঁকা করে বাঁকা হয়নি যার কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহবায়ক ভারতীয় নাগরিক, এনআইডি বাতিলে হাইকোর্টের রুল আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা : এইচআর হেডসহ আহত ১৫

পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি যমুনায় বিলীন

superadmin | আপডেট: ২৩ মে ২০২২ - ১১:৫১:৩০ পিএম

ডেস্কনিউজঃ টাঙ্গাইলে যমুনা নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভাঙন। গত এক সপ্তাহে সদরের কাকুয়া ইউনিয়নে কয়েকটি গ্রামের প্রায় পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ী নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডে আপাতত তেমন কোন টেকনোলেজি নেই বলে জানিয়েছে। তবে দরপত্র আহবানের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী।

সরেজমিন গতকাল রোববার টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় কাকুয়া ইউনিয়নে দেখা যায়, চরপৌলী, রাঙ্গাচুড়া, আলীপুর, বেলটা, কালিকৈটিল,কাকুয়া ও ওমরপুর গ্রামের প্রায় পাঁচশতাধিক বাড়ী নদীতে চলে গেছে। প্রতি বছর যমুনার পানি বাড়ার সময় এবং পানি কমার সময় এ এলাকায় দেখা দেয় তীব্র ভাঙন। নদী তীরের মানুষ বসত-বাড়ী ভেঙে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন। গাছগুলোও কেটে নিয়ে যাচ্ছে। নদী তীরে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলছে ঘরবাড়ি সরিয়ে নেওয়ার কর্মযজ্ঞ।

স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আবজাল হোসেন জানান, ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো যে যেভাবে পারছে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছেন। প্রতিবছর এই গ্রামে ভাঙন দেখা দেয়। কিন্তু এখানে বাঁধ নির্মান করা হচ্ছে না। তাই শতশত মানুষ গৃহহারা হচ্ছে।

শুধু বাড়িঘর নয়, চরপৌলীর মিন্টু মেমোরিয়াল হাইস্কুল, চরপৌলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরপৌলী দাখিল মাদ্রাসা, উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হুমকির মুখে রয়েছে। যে কোন সময় নদী গর্ভে এ প্রতিষ্ঠানগুলো বিলীন হতে পারে।

কাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, ভাঙনের বিষয়ে তিনি জেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদে জানিয়েছেন। তিনি জানান, মাত্র কয়েকদিনেই পাঁচ শতাধিক বাড়ি বিলীন হয়েছে। ভাঙন রোধে এখানে বাঁধ নির্মান করা জরুরি। তা না হলে আগামী দুই এক বছরের মধ্যেই চরপৌলী গ্রামটি মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, সদর উপজেলার চরপৌলি এলাকায় প্রায় চার কিলোমিটারের ভাঙন রয়েছে। এই ভাঙন রোধে আপাতত আমাদের হাতে তেমন কোন টেকনোলেজি নেই। তাই আমরা বিভিন্ন পয়েন্টে আপদকালীন কাজ বাস্তবায়ন করছি।

তিনি আরও বলেন, যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে তাতে জরুরি কাজ করে এ ভাঙন ঠেকানো যাবে না। শুকনা মৌসুমে এখানে স্থায়ী বাঁধের কাজ শুরু হবে। সে কাজের দরপত্র আহ্বান খুব শিগগিরই করা হবে।

কিউএনবি/বিপুল/২৩.০৫.২০২২ খ্রিস্টাব্দ/ বিকাল ১১.৩৩

▎সর্বশেষ

ad