ব্রেকিং নিউজ
আই হ্যাভ আ প্ল্যান : তারেক রহমান সময় এসেছে সকলে মিলে দেশ গড়ার : তারেক রহমান আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের খবর কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনে বিতর্কিতদের প্রশ্রয় : শংকিত জেলাবাসী গণতন্ত্রের জন্য চলা সংগ্রাম-লড়াই চালিয়ে যাব : মির্জা ফখরুল ঢাকায় এমপি প্রার্থী ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মমতাজ হোসেন লিপিকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার দাবিতে রৌমারীতে মশাল মিছিল আর্থিক অনিয়মে অভিযুক্ত সাবেক অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামঃ অভিযোগের ঝড় খলিলগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজে কুড়িগ্রামের খলিলগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক তিন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু কুড়িগ্রামে পরপর ৬ ডিসির মধ্যে ৪ জনই নারী ডিসি

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ২২ গুণ বেড়েছে রাশিয়ার অস্ত্র: পুতিন

Mohon | আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ - ০৩:৪৭:৫৩ পিএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়া তার অস্ত্র ও গোলাবারুদ উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছে। যুদ্ধের এই সময়ে দেশটির সামরিক শিল্পখাতে উৎপাদন বেড়েছে সর্বোচ্চ ২২ গুণ। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) ক্রেমলিনে প্রতিরক্ষা শিল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে দেওয়া টেলিভিশন ভাষণে এ তথ্য জানান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। 

পুতিন জানান, ট্যাংক উৎপাদন বেড়েছে ২ দশমিক ২ গুণ, সামরিক বিমান উৎপাদন ৪ দশমিক ৬ গুণ, আর আঘাত হানার সক্ষম অস্ত্র ও গোলাবারুদের উৎপাদন বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে ২২ গুণ।

রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক পুতিন বলেন, বিশেষ সামরিক অভিযানে (এসএমও) অংশগ্রহণকারী সেনাদের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সরঞ্জাম সরবরাহ নিশ্চিত করছে প্রতিরক্ষা শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো। তিনি উল্লেখ করেন, যুদ্ধের ধরন ও কৌশল ক্রমাগত পরিবর্তিত হওয়ায় সেই অনুযায়ী সামরিক উৎপাদনেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা রিয়া নোভোস্তি-কে উদ্ধৃত করে পুতিন বলেন, ২০২২ সাল থেকে রাষ্ট্রীয় সহায়তা ব্যবস্থার ফলে প্রতিরক্ষা শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত তাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা জোরদার করতে পেরেছে, যার ফলে অত্যন্ত চাহিদাসম্পন্ন অস্ত্র উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তিনি জানান, সাঁজোয়া যুদ্ধযান ও সাঁজোয়া জনবাহী যান (বিএমপি ও এপিসি) উৎপাদন বেড়েছে ৩ দশমিক ৭ গুণ, ইলেকট্রনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ১২ দশমিক ৫ গুণ এবং রকেট আর্টিলারি অস্ত্র উৎপাদন বেড়েছে ৯ দশমিক ৬ গুণ। 

পুতিন আরও বলেন, এটি প্রতিরক্ষা শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। একই সঙ্গে পুরো অর্থনীতির উন্নয়ন ও স্থিতিশীল আর্থিক অবস্থান না থাকলে এমন অগ্রগতি সম্ভব হতো না। তিনি জানান, বিশেষ সামরিক অভিযানের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্সের একটি নতুন কাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। যুদ্ধ চলাকালে লড়াইয়ের প্রকৃতি, ধরন ও পদ্ধতিতে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন আসছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় উৎপাদন ব্যয় কমানোকে একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হিসেবে উল্লেখ করেন পুতিন। পাশাপাশি অস্ত্র পরীক্ষাগার ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর উন্নয়ন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সক্রিয় ব্যবহার বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। পুতিন বলেন, অস্ত্র খাতে মোট ব্যয়ের প্রায় অর্ধেকই ব্যয় করা হচ্ছে উচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ব্যবস্থার পেছনে, যা ভবিষ্যতের সশস্ত্র বাহিনীর রূপ নির্ধারণ করবে। এর মধ্যে রয়েছে কৌশলগত পারমাণবিক বাহিনী, মহাকাশ সম্পদ, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা।

এদিকে, রিয়া নোভোস্তি জানায়, আগামী ২০২৭-২০৩৬ মেয়াদের জন্য রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় অস্ত্র উৎপাদন কর্মসূচিতে ভবিষ্যৎ যুদ্ধ সক্ষমতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, নির্দিষ্ট সংখ্যক অস্ত্র বা সরঞ্জামের চেয়ে। এই কর্মসূচি গত ১৭ ডিসেম্বর প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলাউসভ উপস্থাপন করেন।

 

 

কুইক টিভি / মহন / ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫,/ বিকাল ৩:৪৭

▎সর্বশেষ

ad