ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনে বিতর্কিতদের প্রশ্রয় : শংকিত জেলাবাসী গণতন্ত্রের জন্য চলা সংগ্রাম-লড়াই চালিয়ে যাব : মির্জা ফখরুল ঢাকায় এমপি প্রার্থী ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মমতাজ হোসেন লিপিকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার দাবিতে রৌমারীতে মশাল মিছিল আর্থিক অনিয়মে অভিযুক্ত সাবেক অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামঃ অভিযোগের ঝড় খলিলগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজে কুড়িগ্রামের খলিলগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক তিন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু কুড়িগ্রামে পরপর ৬ ডিসির মধ্যে ৪ জনই নারী ডিসি উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ গাজী মাজহারুল আনোয়ার : তুমি সুতোয় বেধেছ শাপলার ফুল নাকি তোমার মন ‘নবীন বরণ ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হলো ড্যাফোডিল পলিটেকনিকে

কুড়িগ্রামে আওয়ামী লীগের ৯ নেতার বিএনপিতে যোগদান, সমালোচনার ঝড় সর্বত্র

Ayesha Siddika | আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ - ০৮:২৯:৫৯ পিএম

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামে কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর বিএনপিতে যোগদান নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ছাত্রসংগঠন ও নাগরিক সমাজ এ ঘটনাকে ‘ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসন’ ও ‘শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি’ বলছে। গতকাল শনিবার যে মূহুর্তে ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে লক্ষ লক্ষ জনতা শহীদ শরীফ ওসমান হাদি’র নামাজে জানাজায় অংশ গ্রহণ করে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভের অনুভূতি প্রকাশ করেছে ঠিক সে মূহুর্তে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন এসব নেতা-কর্মী।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজার রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান এবং সদস্যসচিব ও কুড়িগ্রাম-২ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ ফুল দিয়ে তাঁদের দলে বরণ করে নেন। বিএনপিতে যোগ দেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক ও বর্তমান কাউন্সিলর আনিসুর রহমান, আল হারুনুজ্জামান হারুন, মোস্তফা কামাল, জমশেদ আলী, আবদুল মালেক এবং সাবেক সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর সহিরন বেগম, মুক্তা বেগমসহ মোট ৯ জন। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়।

অনেকেই বিএনপির এ সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক নৈতিকতার প্রশ্নে বিতর্কিত বলে মন্তব্য করছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুড়িগ্রাম জেলা আহ্বায়ক লোকমান হোসেন বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের মদদপুষ্ট নেতাদের দলে নিয়ে বিএনপি রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের পরিচয় দিয়েছে। এতে শত শত শহীদ ও সহস্রাধিক আহত মানুষের আত্মত্যাগের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে।’ জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কুড়িগ্রাম জেলা আহ্বায়ক মুকুল মিয়া বলেন, ‘বিতর্কিত নেতাদের রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া মানে পতিত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের সুযোগ করে দেওয়া। এটি জুলাই আন্দোলনে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানির শামিল।’

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জামায়াতে ইসলামীও। কুড়িগ্রাম জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বইঠা হামলার সময় ছাত্রশিবিরের কর্মী রফিকুল হত্যা মামলার আসামিসহ পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতাদের বিএনপিতে আশ্রয় দেওয়ায় আমরা লজ্জিত।’ তবে অভিযোগের বিষয়ে ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছে জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘যাঁরা যোগ দিয়েছেন, তাঁরা আওয়ামী লীগের প্রথিতযশা কোনো নেতা নন। ৯ জনের মধ্যে দুই-একজনের আগে পদ থাকলেও বাকিরা গত ৫ আগস্টের আগেই পদত্যাগ করেছেন। তাঁদের নামে কোনো মামলা নেই।’

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২১ ডিসেম্বর ২০২৫,/রাক ৮:০০

▎সর্বশেষ

ad