
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রতিবেদন মতে, এই বৈঠকটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন ট্রাম্প প্রশাসন সৌদি আরবকে আব্রাহাম চুক্তি-তে যোগদানের জন্য চাপ দিচ্ছে। ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ২০২০ সালে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান ও মরক্কো।
ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের অগ্রগতি না হওয়ায় সৌদি আরব ও অন্যান্য দেশ এখনও এই উদ্যোগে অংশ নিতে অনিচ্ছুক। তবে সম্প্রতি সিবিএসের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, তার বিশ্বাস, ‘সৌদিরা শেষ পর্যন্ত চুক্তিতে যোগ দেবে।’
বিষয়টি নিয়ে কূটনৈতিক তরপরতার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন সৌদি যুবরাজ। এই সফরকে দুই দেশের সম্পর্কের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে ধরা হচ্ছে। সফরে আলোচনায় আসতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ও ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের মতো ইস্যু।
বৈঠকে একটি মার্কিন-সৌদি প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে। ফিন্যান্সিয়াল টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিন সালমানের সফরের সময় উভয় দেশ এই চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘সৌদি যুবরাজের সফরকালে কিছু স্বাক্ষর স্বাক্ষরের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে, তবে বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি।’ সূত্র অনুযায়ী, সৌদি তার নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক গ্যারান্টি এবং আরও উন্নত অস্ত্র পেতে চাইছে।
সৌদি আরব দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন অস্ত্রের অন্যতম বৃহৎ ক্রেতা। দেশ দুটির সম্পর্ক মূলত তেল ও নিরাপত্তা সহযোগিতার ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। চলতি বছরের মে মাসে ট্রাম্প রিয়াদ সফর করেন। ওই সফরকালে সৌদি আরবের সঙ্গে প্রায় ১৪২ বিলিয়ন ডলারর অস্ত্রচুক্তি স্বাক্ষর হয়।
আয়শা/০৪ নভেম্বর ২০২৫,/রাত ১১:৩৮






