
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রুশ আগ্রাসন মোকাবিলায় আগামী বছর কমপক্ষে ১২০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে ইউক্রেনের। এমনকি যুদ্ধ শেষ হলেও সেনাবাহিনীর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একই পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হবে।
কিয়েভে এক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডেনিস শ্মিগাল বলেন, ‘যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যয়ে পিছিয়ে থাকলে তার দেশ রাশিয়ার কাছে আরও ভূমি হারানোর ঝুঁকিতে পড়বে।’তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলছি, যদি যুদ্ধ চলতে থাকে তবে আগামী বছরে আমাদের ন্যূনতম ১২০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে।’
শ্মিগাল আরও বলেন, ‘যুদ্ধ শেষ হলেও সেনাবাহিনীকে ভালো অবস্থায় রাখতে প্রায় একই অঙ্কের অর্থের দরকার হবে—যাতে রাশিয়ার পক্ষ থেকে দ্বিতীয় দফা আগ্রাসন হলে আমরা প্রস্তুত থাকতে পারি।’
তিনি প্রস্তাব দেন, পশ্চিমে জব্দ করে রাখা রুশ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে এই প্রতিরক্ষা ব্যয়ের অর্থ জোগানো উচিত। কারণ তিন বছর ছয় মাসের যুদ্ধের পর ইউক্রেনীয়রা ইতোমধ্যেই বড় করের বোঝা বহন করছে।
অন্যদিকে রাশিয়া বলেছে, তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার যে কোনো প্রচেষ্টা ‘চুরির সমতুল্য’ এবং এর ফল ভুগতে হবে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেয়ন বুধবার প্রস্তাব দিয়েছেন, জব্দ করা রুশ সম্পদ ব্যবহার করে ইউক্রেনকে একটি ‘ক্ষতিপূরণ ঋণ’ দেওয়া যেতে পারে।
তবে তিনি পরিষ্কার করে বলেন, ইইউ’র ২৭ সদস্য রাষ্ট্র সরাসরি এই সম্পদ বাজেয়াপ্ত করবে না।
আয়শা/১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, /দুপুর ২:৫০