মিজানুর রহমান মিন্টু জয়পুরহাট : জয়পুরহাট জেলা ক্রীড়া সংস্থার এ্যাডহক কমিটি সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যার আগে জয়পুরহাট স্টেডিয়ামের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠক ও খেলোয়ারা অংশ নেন। এসময় বক্তব্য রাখেন, জেলা ফুটবল খেলোয়ার সমিতির সভাপতি মতিউর রহমান হবু, সাবেক জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়ার টুটুল হোসেন বাদশা, ক্রীড়া সংগঠক আরিফুল ইসলাম ও ছাত্র প্রতিনিধি হাসিবুল হক সানজিদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গত ৩১ আগস্ট জেলা প্রশাসককে আহবায়ক ও জেলা ক্রীড়া অফিসারকে সদস্য সচিব করে জেলা ক্রীড়া সংস্থার ৯ সদস্য বিশিষ্ট এ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু খেলার সাথে সম্পৃক্ত নেই এমন ব্যক্তিকেও এই কমিটিতে রাখা হয়েছে। ক্রীড়াঙ্গনে দলীয়করণ ও কর্মমূল্যায়নহীন এ্যাডহক কমিটির কারণে খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। ফলে জেলার ক্রীড়া উন্নয়ন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এজন্য আমাদের তিন দফা দাবি মানতে হবে।
দাবিগুলো হচ্ছে দলীয়করণ মুক্ত ক্রীড়াঙ্গন চাই, আগামী ৩ দিনের মধ্যে জয়পুরহাট জেলা ক্রীড়ার এ্যাডহক কমিটির সংস্করণ চাই যেখানে ক্রীড়াঙ্গনের সকলের সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করতে হবে ও বিগত দিনে জয়পুরহাট জেলার ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট সংগঠক ও খেলোয়াড়দের কর্মমূল্যায়নের ভিত্তিতে এ্যাডহক কমিটির সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এসব দাবি মানা না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। পরে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সচিব ও জেলা ক্রীড়া অফিসারকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
স্পোর্টস ডেস্ক : একসময় আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার কাছে যারা ছিলেন স্বপ্নের নায়ক, তাদেরকেই তিনি নতুন করে চিনেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা হওয়ার পর। প্রিয় ক্রীড়া তারকাদের কাছ থেকে দেখে চমকে গেছেন বলে জানালেন অন্তবর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি যে খেলোয়াড়দেরকে প্রিয় মনে করতাম বা উদযাপন করতাম, তারা এখানে অনেক ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত, যা আসলে লজ্জাজনক।’সোমবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে আলোচনার এক পর্যায়ে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, ক্রিকেটে কাজ করতে এসে কোন ব্যাপারটিতে তিনি সবচেয়ে বেশি ‘শকড’ হয়েছেন।
ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি তো একজন ফ্যান ছিলাম। নানা সময়ে লেখালেখিও করেছি, পরবর্তীতে কিছু হাইড করে ফেলতে হয়েছে পেশাদারিত্বের কারণে। তবে বাইরে থেকে যা দেখা যায়, ভেতর থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। আপনারা জানেন সেসব, না জানার কথা নয়। আমার চেয়েও হয়তো বেশি জানেন।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি দেখেছি যে, আমি যে খেলোয়াড়দেরকে বা যাদেরকে প্রিয় খেলোয়াড় মনে করতাম বা উদযাপন করতাম এক সময়, তারা এখানে অনেক ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত, যা আসলে লজ্জাজনক। এটা আমাকে সবচেয়ে বেশি ‘শক’ করেছে এবং নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে যে, আসকিউএনবি/আয়শা/০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, /সন্ধ্যা ৬:৫০লে কী…।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেখানেও আমরা কাজ করার চেষ্টা করছি…। আপনারাও জানেন, খেলাধুলায় আসলে আন্তর্জাতিকভাবেই বিষয়গুলো হয়, ফিক্সিং থেকে শুরু করে বুকি বা এই ধরনের কাজ। এগুলো সমাধানে আমরা চেষ্টা করছি, বিসিবি চেষ্টা করছে। বাংলাদেশে কোনো ধরনের খেলায় এসব যেন না থাকে, সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি।’
আয়শা/০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, /সন্ধ্যা ৭:০৫