
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপলিসে একটি ক্যাথলিক গির্জায় বন্দুকধারীর গুলিতে দুই শিশু নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৭ জন।
বুধবার মিনিয়াপলিসে ওই ক্যাথলিক গির্জায় প্রার্থনা করছিল স্থানীয় প্যারিশ স্কুলের শিক্ষার্থীরা। এ সময় কাচের জানালা দিয়ে তিনটি বন্দুক নিয়ে গুলি চালায় এক যুবক।
পুলিশ জানায়, এরপর রবিন ওয়েস্টম্যান (২৩) নামের ওই হামলাকারী গির্জার পেছনের দিকে গিয়ে আত্মহত্যা করে। তবে, হামলার কারণ জানাতে অস্বীকৃতি জানান মিনিয়াপলিসের পুলিশ প্রধান ব্রায়ান ও’হারা।
হামলায় দুই শিশু ছাড়াও ১৪ জন স্কুল শিক্ষার্থী (৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী) এবং তিনজন বয়স্ক মানুষ (৮০ বছরের বেশি) আহত হয়েছেন। আহত সবার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন পুলিশ প্রধান।
এই হামলাকে ঘৃণা ও অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদ বলে বর্ণনা করেছেন এফবিআই পরিচালক কাশ প্যাটেল।
জানা গেছে, অভিযুক্ত রবিন ওয়েস্টম্যান একসময় রবার্ট নামে পরিচিত ছিলেন। ২০১৭ সালে ওই গির্জার স্কুলেই পড়তেন তিনি। ২০২০ সালে তিনি আইনগতভাবে তার নাম পরিবর্তন করে রবিন ওয়েস্টম্যান রাখেন এবং নারী হিসেবে নিজেকে পরিচিত করেন।
হামলার পর ইউটিউবে তার একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশিত হয়, যেখানে তিনি হতাশাগ্রস্ত এবং জনগণের ওপর গুলিবর্ষণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। হামলার আগে তার রাইফেলের ম্যাগজিনে অন্যান্য স্কুলে হামলাকারীদের নাম লেখা ছিল। তার কাছে থাকা তিনটি বন্দুকই বৈধ ছিল এবং সম্প্রতি কেনা হয়েছিল।
ওয়েস্টম্যানের কোনো অপরাধের রেকর্ড ছিল না এবং তিনি একাই এই হামলা চালিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম এক টুইট বার্তায় বলেন, হামলাকারী নিজেকে একজন ট্রান্সজেন্ডার বলে দাবি করেন এবং এই বিকৃত মনস্ক ব্যক্তি শিশুদের লক্ষ্য করে হামলা করেছে।
অন্যদিকে, মিনিয়াপলিসের মেয়র জ্যাকব ফ্রে সতর্ক করে বলেন, এই দুঃখজনক ঘটনাকে ব্যবহার করে ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো উচিত নয়। যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকের সহজলভ্যতা এই ধরনের ঘটনার অন্যতম প্রধান কারণ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে, এ ঘটনায় শোকের প্রতীক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সোর্স : রয়টার্স
কুইকটিভি/অনিমা/২৮ আগস্ট ২০২৫/সকাল ৯:৫৬