
ডেস্ক নিউজ : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রতি বছরে বিশ্বে রোডক্র্যাশে ১১ লাখ ৯০ হাজার সড়ক ব্যবহারকারী নিহত হন। রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর শ্যামলীতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টর আয়োজিত ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন সকলের জন্য প্রয়োজন’ শীর্ষক সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের রোড সেফটি প্রকল্প সমন্বয়কারী শারমিন রহমান।
সভায় দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক শুভ্র দেবের সঞ্চালনায় নিরাপদ সড়ক জোরদারকরণে ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ প্রণয়নের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) সাধারণ সম্পাদক ও ইউএনবির বিশেষ প্রতিনিধি মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক জামিউল আহ্ছান শিপু এবং দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার নিজস্ব প্রতিনিধি ইমন রহমান।
এ সময় আলোচকরা বলেন, সড়ক পরিবহণ আইন-২০১৮ এবং এর বিধিমালা মূলত সড়ক পরিবহণ খাতের সঙ্গে সম্পর্কিত কিন্তু সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এগুলো যথেষ্ট নয়। সড়ক অবকাঠামো ও যানবাহনের নিরাপত্তা, সড়ক ব্যবহারকরীর (বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবহারকারী) নিরাপত্তা, দুর্ঘটনার পরবর্তী ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসার মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এতে যথাযথ গুরুত্ব পায়নি। সুতরাং, সড়কে সব ধরনের সুরক্ষা সম্পর্কিত সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার জন্য পৃথক ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ প্রণয়ন করা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপনে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের উপ-পরিচালক মোখলেছুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যমান সড়ক পরিবহণ আইন-২০১৮ ও সড়ক পরিবহণ বিধিমালা-২০২২ মূলত পরিবহণ সংক্রান্ত আইন। তাই সড়ককে অধিকতর নিরাপদ করতে ও রোডক্র্যাশ কমাতে এ আইন ও বিধিমালা যথেষ্ট নয়। এ জন্যই জাতিসংঘ প্রস্তাবিত বর্ণিত ৫টি বিষয়কে (বহুমুখী যানবাহন ও ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা, নিরাপদ যানবাহন, নিরাপদ সড়ক অবকাঠামো, নিরাপদ সড়ক ব্যবহার, রোডক্র্যাশ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ করণ) বিবেচনায় নিয়ে একটি সমন্বিত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ও এর বাস্তবায়ন অতীব জরুরি।
কিউটিভি/আয়শা/২২ জুন ২০২৫, /রাত ৮:২৮