
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলা যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে নাকি বাইরে নাকি উভয় ক্ষেত্রেই চালানো হবে তা স্পষ্ট নয়। ইরানি কর্মকর্তারা আগে থেকেই হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের সঙ্গে হামলায় যোগ দিলে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ঘাঁটিতে কঠোর আঘাত হানা হবে।
মার্কিন সামরিক পরিকল্পনার সাথে সংশ্লিষ্ট দুই কর্মকর্তা চলতি সপ্তাহের শুরুতে বলেছিলেন, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ঘাঁটি ও সম্পদ লক্ষ্য করে হামলা চালানোর জন্য ইরান ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা তৈরি করেছে। তবে তারা সেই সময়ে জানিয়েছিলেন, পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের কোনো ইঙ্গিত নেই।
মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ঘাঁটি ও অন্যান্য সরঞ্জাম গত কয়েক মাস ধরে সর্বোচ্চ সতর্কতার স্তরে রয়েছে। কিন্তু গত ১৩ জুন ইরানে ইসরাইলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর চলতি সপ্তাহের শুরুতে মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, ইরান বা এই অঞ্চলে তাদের সহযোগীদের কাছ থেকে মার্কিন স্বার্থের উপর হামলার আশঙ্কা নিয়ে উদ্বেগ অনেকটা বেড়েছে। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে হুমকি-ধামকির পর অবশেষে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের যুদ্ধে যোগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার (২১ জুন) রাতে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী।
এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়ে জানান, ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনা ফোরদো, নাতাঞ্জ এবং ইস্পাহানে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা-ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে-খুবই সফলভাবে হামলা সম্পন্ন করেছি। সব বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে।’
হামলার পর ইরানের পাল্টা হামলার আশঙ্কা নিয়ে হুঁশিয়ারিও দেন ট্রাম্প। রোববার (২২ জুন) সকাল ৮টায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘হয় শান্তি স্থাপন হবে, না হয় ইরানের জন্য এক মর্মান্তিক পরিণতি ঘটবে। গত আট দিনে যা ঘটেছে, তার চেয়েও ভয়াবহ হবে।’এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলার পর কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেছেন, শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে মার্কিন বর্বর সামরিক আগ্রাসন ক্ষমার অযোগ্য। এরই মধ্যে ইসরাইলে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরানি বাহিনী।
কিউটিভি/আয়শা/২২ জুন ২০২৫, /সন্ধ্যা ৬:৩০