ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রামে সেনাবাহিনী’র মাদক বিরোধী অভিযানে ফেনসিডিল, ইয়াবা ও গাঁজাসহ আটক ১ ঢাবি’র জহুরুল হক হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন পুনর্গঠন : সদস্য সচিব নিয়ে বিতর্ক রাস্তায় অভিনেতা সিদ্দিককে মারধরের ভিডিও ভাইরাল ইন্টারপোলের মাধ্যমে হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারির সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাবি দর্শন বিভাগের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত ঢাবি দর্শন বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ১৪তম পুনর্মিলনী ও কমিটি গঠিত হয়েছে সাইদ সোহরাব ও শেখ মো. নাসিম এর নেতৃত্বে ঢাবি মুহসীন হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন গঠন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিসপ্লে-তে ভেসে উঠেলো ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’ কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, যুবদল নেতার মৃত্যু কুড়িগ্রামে নবগঠিত জেলা বিএনপির আহবায়কের বিরুদ্ধে মশাল মিছিল

যুদ্ধের মধ্যে যেভাবে সময় পার করছে ইরানের জেনারেশন-জেড

Ayesha Siddika | আপডেট: ১৯ জুন ২০২৫ - ০৪:৫০:৪৪ পিএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলের একের পর এক হামলায় অনেকটাই থমকে গেছে ইরান। রাজধানী তেহরানের অনেক এলাকা পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তুপে। এমন পরিস্থিতিতে কী করছে সেখানকার তরুণরা। তারা কি কোনো মাধ্যমে প্রতিবাদ করছে? নাকি তারা যুদ্ধের দামামায় নিশ্চুপ? বিষয়টি নিয়ে আলজাজিরা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, জেনারেশন-জেড যুদ্ধ পরিস্থিতিতে খুঁজে নিয়েছে তাদের নতুন আশ্রয়। আর সেটা হচ্ছে ইন্টারনেট বা সাইবার দুনিয়া।

প্রযুক্তি নিয়ে পড়াশোনা করছেন তেহরানের বাসিন্দা ২৪ বছর বয়সী মোমো। তিনি বলেন, চারপাশে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কেউ জানে না কখন কী হবে। তবুও তিনি তেহরান ছাড়েননি। তার ভাষ্য, ‘আমার জন্ম-বাড়ি সব এখানে। তাই এটা ছেড়ে কোথায় যাব? বাঁচলে এখানেই বাঁচব, মরলেও এখানেই।‘মোমো জানান, এমন পরিস্থিতিতে কিছু একটা আঁকড়ে ধরতে হবে তরুণদের। তাই তারা যতটা সম্ভব সাইবার ওয়ার্ল্ডে সময় পার করছেন।

তাই প্রশ্ন উঠছে অনলাইনে তারা করছেটা কী? ইরানি তরুণদের অনেকেই নাকি এখন গেম খেলার গ্রুপ চ্যাট সাইট ডিসকর্ডে সময় পার করছে। কোনো কোনো তরুণের ভাষ্য, এই ডিসকর্ড তাদের কাছে এখন ঘরের মতো হয়ে গেছে। আগে বেশিরভাগই গেম খেলার জন্য ব্যবহার হতো। এখন অনেকে অন্যের খোঁজ-খবর নেয়ার জন্য এই মাধ্যম ব্যবহার করে। ডিসকর্ডে যারা নিয়মিত যোগাযোগ করে থাকেন, তাদের কেউ দু-একদিন না এলেই শঙ্কা ভর করে গ্রুপের অন্যদের মনে। তখন খোঁজ নেয়া শুরু করেন, আদতে হামলায় তাদের কোনো ক্ষতি হয়েছে কিনা। সবমিলিয়ে প্রায় দেড় কোটি ইরানি তরুণ ডিসকর্ড ব্যবহার করেন বলে জানা গেছে।

আবার কেউ কেউ হোয়াটঅ্যাপেও খুব সক্রিয়। গ্রুপ চ্যাটে বা ভিডিও কলে একে অন্যের খোঁজ রাখছেন। যদিও সম্প্রতি এই অ্যাপটির বিরুদ্ধে ইরান সরকার তাদের নাগরিকদের সতর্ক করেছে। বলা হয়েছে, সবার ফোন থেকে হোয়াটসঅ্যাপ মুছে ফেলতে। ইরান সরকারের সন্দেহ, এই অ্যাপের মাধ্যমে গোপন তথ্য পাচার হয়ে যাচ্ছে। ইরানি তরুণদের মতে, এই ডিসকর্ড বা হোয়াটসঅ্যাপ এখন তাদের জীবনের অংশ। এখানেই তারা বন্ধুদের জন্মদিন পালন করে। হামলায় কেউ মারা গেলে কান্না করে। আবার শত্রুদের ঘায়েল করার খবর এলে সমস্বরে চিৎকার করে আনন্দ করে।

আবার শুধু অ্যাপকেন্দ্রিক জীবনই যে সব তরুণ কাটাচ্ছে, তেমনও নয়। যুদ্ধকালীন গর্ভবতী নারীদের নানা ধরণের সেবা ও টিপস দিতে একটি হোয়াটঅ্যাপ গ্রুপ করা হয়েছে। যেখানে যোগব্যয়ামের মাধ্যমে হবু মা’দের নানা ধরণের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। কীভাবে শ্বাস নিয়ন্ত্রণ করতে হয় বা নার্ভ ঠাণ্ডা রাখতে হয়, তা শেখানো হচ্ছে। বলা যায়, বাতাসে যখন বারুদের গন্ধ, তখন ভার্চুয়ালি একে অন্যের কাঁধে হাত রাখছে ইরানের জেনারেশন-জেড। দেশ মাতৃকার জন্য অস্ত্রহাতে ঝাঁপিয়ে পড়তে না পারলেও তারা জানাচ্ছেন ডিজিটাল সংহতি।

 

 

কিউটিভি/আয়শা/১৯ জুন ২০২৫, /বিকাল ৪:১৮

▎সর্বশেষ

ad