ব্রেকিং নিউজ
ঢাবি দর্শন বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ১৪তম পুনর্মিলনী ও কমিটি গঠিত হয়েছে সাইদ সোহরাব ও শেখ মো. নাসিম এর নেতৃত্বে ঢাবি মুহসীন হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন গঠন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিসপ্লে-তে ভেসে উঠেলো ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’ কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, যুবদল নেতার মৃত্যু কুড়িগ্রামে নবগঠিত জেলা বিএনপির আহবায়কের বিরুদ্ধে মশাল মিছিল দূর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছে আগস্ট বিপ্লবের শহীদ নূর আলমের স্ত্রী খাদিজা জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাংবাদিকের কুড়িগ্রাম থানায় অভিযোগ শহীদ সাইদের আত্মত্যাগ জাতি কখনই ভুলবে না-রিজভী কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী লিটন আকন্দ’কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩

ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপারের পদক্ষেপে উদ্ধার হলো যৌনকর্মী -০৩।

Ayesha Siddika | আপডেট: ১০ জানুয়ারী ২০২৫ - ০৭:২৬:২৩ পিএম

লুৎফুন্নাহার রুমা,বিভাগীয় প্রতিনিধী ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার কাজি আখতারুল আলমের পদক্ষেপে গোয়েন্দা শাখার ডিবি ওসি সহিদুল ইসলামের সঙ্গীয় ফোর্সসহ সাংবাদিক বৃন্দের উদ্ধার চেষ্টায় স্ব-পড়িবারে প্রত্যাবর্তন করলেন তিন যৌনকর্মী। প্রায় ২ বছর আগে রংপুর মহানগরী থেকে কিশোরী ঝর্ণা (ছদ্দনামে) বাড়ী থেকে বের হয়ে ঢাকায় একটি গার্মেন্টেসে চাকরী করতে আসে; জনৈক সাগর নামে এক ব্যক্তি তাকে ভালো বেতনের চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে এক বন্ধুর বাসায় নিয়ে যায়।

এক পর্যায়ে ঘুমের ওষুধ মিশ্রিত পানি পান করিয়ে মেয়েটিক অজ্ঞান করে এবং টাকার বিনিময়ে ময়মনসিংহ যৌন পল্লীতে বিক্রয় করে দেয়। আরেক কিশোরী জবা (ছদ্দনাম) সৎমায়ের পরিবারে অসম্মান সহ্য করতে না পেরে প্রায় ১ বছর ৪ মাস আগে বাড়ী থেকে ঢাকা এলে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তাকে একটি বিউটি পার্লারে চাকুরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ময়মনসিংহ যৌন পল্লীতে বিক্রয় করে দেয়।

সৎ মায়ের সাথে রাগ-অভিমানের বশবর্তী হয়ে প্রায় ১০ মাস আগে তিথি (ছদ্দনাম) নামের আরেক কিশোরীও একই পরিণতি বরণ করে ময়মনসিংহে যৌনপল্লীতে আসেন। গত ৯ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার তাদের মধ্যে একজন কিশোরী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার লক্ষ্যে সুকৌশলে তার মায়ের মোবাইলে যোগাযোগ করতে সক্ষম হলে তার মা-বাবা সেদিনই পুলিশ সুপার কাজী আখতারুল আলমের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং মেয়েটিকে পরিবারে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পুলিশ সুপার, ময়মনসিংহ সহৃদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

তাৎক্ষনিভাবে পুলিশ সুপারের নির্দেশে অফিসার ইনচার্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা সহিদুল ইসলাম ময়মনসিংহ একটি টিমকে কোতোয়ালী থানাধীন রমেশ চন্দ্র সেন রোডস্থ পতিতা পল্লীতে গিয়ে উক্ত ভিকটিম ও তার সাথে অপর দুই হতভাগ্য কিশোরীকে উদ্ধার করে ডিবি হেফাজতে নিয়ে আসেন।

উদ্ধারকৃত ভিকটিমরা পতিতাবৃত্তির অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়ে আবারও সুস্থ সামাজিক ও পারিবারিক পরিবেশে ফিরে যাওয়ার জন্য ইচ্ছা পোষণ করে এবং তাদেরকে এখানে আনা সম্পর্কে কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করবে না বলে অবহিত করলে পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাদেরকে স্ব-স্ব পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

তাদেরকে ফিরে পেয়ে অশ্রুসিক্ত পিতামাতার হৃদয়ে প্রশান্তির আবেশ ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ সুপার ময়মনসিংহের এই আন্তরিকতা সমাজের সর্বস্তরে ইতিবাচকতার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক- জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এই আশা ব্যক্ত করা যাচ্ছে।

 

কিউটিভি/আয়শা/১০ জানুয়ারী ২০২৫,/সন্ধ্যা ৭:২১

▎সর্বশেষ

ad