
ডেস্ক নিউজ : ঈদে মিলাদুন্নবী বলতে কী বুঝায়?
অশান্তি আর বর্বরতায় ভরপুর সংঘাতময় আরবের বুকে আঁধারের বুক চিড়ে মহানবি (সা.) সুখ-শান্তি কামিয়াবি ও রহমতের বার্তা নিয়ে পৃথিবীতে আগমন করেন। মানবজাতিকে সত্যের, সভ্যতার ও ন্যায়ের দিকনির্দেশনা দিয়ে গোটা বিশ্বকে শান্তিতে পরিপূর্ণ করে তোলেন।
মিলাদুন্নবীর দিনে নবীজির আমল
নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের জন্ম উদযাপন করতেন জন্মের বার হিসেবে, তারিখ হিসেবে নয়। নবীজির জন্মদিন ছিল সোমবার। এদিন তিনি কোনো উৎসব, মিছিল বা ভোজনরসিকতা করতেন না, বরং রোজা রাখতেন। হাদিস বেত্তাগণ লিখেছেন, সোমবার নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্মের দিন হওয়ায় প্রতি সোমবার রোজা রাখা মোস্তাহাব।
দিবস পালন নিয়ে ইসলাম কী বলে?
ইসলামে দিবস পালনের অনুমোদন নেই। ইসলামে জন্মদিন পালনের গুরুত্ব যদি থাকতো, তাহলে সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়িগণ এবং তাবে তাবেইনসহ পূর্ববর্তী মহান ব্যক্তিদের থেকে এটি পালনের প্রমাণ থাকার কথা। কিন্তু আদৌ তা নেই। তারা জন্মদিন পালন করবেন তো দূরের কথা, কারও কারও জন্মসন জানা গেলেও কোন মাসের কোন তারিখে জন্মগ্রহণ করেছেন তা অবধি জানা যায়নি।
لَتَتَّبِعُنَّ سَنَنَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ حذو القذة بالقذة حَتَّى لَوْ دخلوا جُحْرَ ضَبٍّ لَدخلتتُمُوهُ قالوا: يَا رسول الله الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى. قَالَ: فَمَنْ؟ অর্থ: অবশ্যই তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তী জাতির (ইহুদি নাসারাদের) পদ্ধতি অনুসরণ করবে বিঘত বিঘত এবং হাত হাত পরিমাণ অর্থাৎ, সম্পূর্ণরূপে। এমনকি তারা যদি সাণ্ডার (গো-সাপ জাতীয় এক প্রকার হালাল জন্তুর) গর্তে প্রবেশ করে, তবে তোমরাও তাকে অনুসরণ করবে। সাহাবাগণ বললেন, আল্লাহর রসুল ইহুদি ও খ্রিস্টানরা? তিনি বললেন, তবে আবার কারা? (বুখারি: ২৬৬৯)
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত আরেক হাদিসে নবীজি বলেন,مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ অর্থ: যে ব্যক্তি বিজাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে তাদের দলভুক্ত হিসেবে গণ্য হবে। (আবু দাউদ: ৪০৩১)
কিউটিভি/আয়শা/১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪,/রাত ১০:৫২