ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিকে নিয়ে পাহাড়সম অভিযোগঃ ১০ মাসেও হয়নি কাউন্সিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম : শিক্ষক,লেখক-সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিম্যান একজনের বিদায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালে উপকৃত হবেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক- ভিসি ড.আমানুল্লাহ ফেরদৌস বাজে ব্যাটিংয়ে ফাইনাল মিস বাংলাদেশের জনস হপকিন্সের সাথে কাজ করবে বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়  মজিদা কলেজে ৪০ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ, তোলপাড় কুড়িগ্রাম খারুয়ার পাড়ে ভাঙ্গনের শব্দ থেমে যাক — বদরুদ্দীন উমর : শিরদাঁড়া বাঁকা করে বাঁকা হয়নি যার কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহবায়ক ভারতীয় নাগরিক, এনআইডি বাতিলে হাইকোর্টের রুল আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা : এইচআর হেডসহ আহত ১৫

৯০ মিনিটের বৈঠকে যেভাবে অ্যান্ডারসন থামতে রাজি হয়েছিলেন

Ayesha Siddika | আপডেট: ১৫ মে ২০২৪ - ০১:৫৯:৩০ পিএম

স্পোর্টস ডেস্ক : বয়স হয়ে গেছে ৪১। পাঁচ দিনের টেস্ট ক্রিকেটের চাপ নেয়ার জন্য বয়সটা বেশিই। এর ওপর তিনি আবার পেস বোলার। মানে শারীরিক ধকলটাও বেশি নিতে হয় তাকে। বয়স অনুকূলে না থাকলেও খেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন জেমস অ্যান্ডারসন। টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম পেসার হিসেবে শিকার করেছেন ৭০০ উইকেট। এই অভিজাত ক্রিকেটের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হতে তার দরকার আর মাত্র ৯টি উইকেট। অথচ এমন সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন অ্যান্ডারসন।

তবে হঠাৎ ঘোষণা এলেও আকস্মিক সিদ্ধান্ত নেননি অ্যান্ডারসন। ৪১ বছর বয়সী এই পেসার ইংলিশ ক্রিকেটের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করেই দিয়েছেন অবসরের ঘোষণা। বরং বলা উচিত, আলোচনার মাধ্যমে ইংল্যান্ডের ক্রিকেট কর্তারা থামতে বাধ্য করেছেন ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই পেসারকে। এমনটাই জানিয়েছেন ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের পরিচালক রব কি।

কি জানিয়েছেন, ৯০ মিনিটের একটা মিটিংয়ে তিনি, ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম এবং অধিনায়ক বেন স্টোকস অ্যান্ডারসনকে বলেন, ‘এটাই থামার উপযুক্ত সময়।’ এরপর গত শনিবার (১১ মে) অ্যান্ডারসন ঘোষণা দেন যে, আগামী জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লর্ডসে টেস্ট খেলেই তিনি টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন। এবার কি জানালেন, কীভাবে তার দল অ্যান্ডারসনকে ক্যারিয়ারের উপসংহারে পৌঁছাতে রাজি করিয়েছেন।

ইংল্যান্ডের পুরুষ দলের পরিচালক কি নিয়মিত খেলোয়াড়দের সঙ্গে বৈঠক করে থাকেন। এই বৈঠকে তাদের পারফরম্যান্সের মূল্যায়ন হয়ে থাকে। তেমনই বৈঠকে তিনি অ্যান্ডারসনকে জানান, তাদের একান্তে আলোচনা করা প্রয়োজন।
বিবিসির টেস্ট ম্যাচ স্পেশাল পডকাস্টে কি বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্তে পৌঁছলাম এবং ভাবলাম, “আচ্ছা, আমাদের আগাতে হবে এবং জেমির (অ্যান্ডারসন) সঙ্গে বসা দরকার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে।” ব্রেন্ডন (ম্যাককালাম) সিদ্ধান্তে পৌঁছালেন যে, সঠিক কাজটা হবে ইংল্যান্ডে পৌঁছে (নিউজিল্যান্ড সফর শেষে) তারপর করা।’

ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন জেমস অ্যান্ডারসনকে অবসর নিতে রাজি করাতে। ছবি: টেলিগ্রাফ

তিনি যোগ করেন, ‘আমরা তিনজনই তাকে (অ্যান্ডারসন) দেখতে গেলাম: আমি এবং ব্রেন্ডন (ম্যাককালাম) লন্ডন থেকে ট্রেনে উঠলাম, স্টোকসি ম্যানচেস্টারে ছিলেন, তখন পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। আমরা স্টেশনের কাছে একটা হোটেলে জেমির সঙ্গে দেখা করি এবং আমাদের মধ্যে প্রায় দেড় ঘণ্টার একটা আলাপ হয়, যেটায় বাজ (ম্যাককালাম) নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। আমার মনে হয় না জিমি এটা আশা করেছিলেন, তবে আমার মনে হয় না এটা পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত ছিল।’


কি জানান, অ্যান্ডারসন আর মাত্র একটা চূড়ান্ত টেস্টে খেলবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন। তার ভাষ্যমতে, ‘অবচেতনে তার জানা ছিলই, সময়টা চলে এসেছে এবং আমরা বরাবরের মতোই নানা বিচিত্র বিষয়ে আলোচনা করছিলাম এবং খেলা ছাড়ার পর জিমির ভবিষ্যৎ নিয়েও……আমরা তার প্রতি এমন প্রভাব তৈরি করতে পারিনি যে, সেখানেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে  এবং তার কিছু সময় না যেতেই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন, লর্ডসের ম্যাচটাই তার শেষ ম্যাচ হবে।’
আমরা তাকে শুধু কথার ছলেই বলেছিলাম, “দেখো, আমার মনে হয়, এটাই আমাদের সামনে তাকানোর উপযুক্ত সময়। আমরা এমন একটা জায়গায় এসে উপনীত হয়েছি যে, আমাদের এখন ভবিষ্যতের দিকে তাকানো দরকার……নতুনদের এখন শেখার সুযোগ দিতে হবে কীভাবে নতুন বলে বল করতে হয়, টেস্টের একটা গোটা দিনে এবং এটা উপলব্ধি করার যে, কীভাবে পরদিনও এটা সঠিকভাবে চালিয়ে যেতে হয়। এটাই শেখার জন্য সেরা সময়।” কি যোগ করেন।

গত গ্রীষ্মে অ্যাশেজ খেলেই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানান স্টুয়ার্ট ব্রড। এই পেসারের দীর্ঘদিনের বোলিং সঙ্গী ব্রড সে সময় অ্যান্ডারসন পরবর্তী সময়ের ইংলিশ পেস অ্যাটাকের অভিজ্ঞতার অভাব নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু কি জানান, তিনি নতুনদের সম্ভাবনা ও জেতা৫ সুযোগের কথা ভেবে দারুণ উত্তেজিত। 

এই গ্রীষ্মে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের বোলিং আক্রমণের নেতৃত্বটা ক্রিস ওকস ও মার্ক উডের কাঁধেই থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। গাস অ্যাটকিনসন, ব্রেন্ডন কার্স, ম্যাথিউ পটস, জশ টাং ও ওলি রবিনসনদেরকেও কেন্দ্রীয় চুক্তির অংশ করা হয়েছে। এছাড়া জেমি ওভারটন, ম্যাথিউ ফ্রেসার এবং সাকিব মাহমুদও ২০২২ সালে টেস্ট খেলেছেন। এছাড়াও কি ডিলন পেনিংটন, ওলি স্টোন এবং স্যাম কুকের মধ্যে সম্ভাবনা দেখছেন।

 

 

কিউটিভি/আয়শা/১৫ মে ২০২৪,/দুপুর ২:০০

▎সর্বশেষ

ad