ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রামের খলিলগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক তিন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু কুড়িগ্রামে পরপর ৬ ডিসির মধ্যে ৪ জনই নারী ডিসি উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ গাজী মাজহারুল আনোয়ার : তুমি সুতোয় বেধেছ শাপলার ফুল নাকি তোমার মন ‘নবীন বরণ ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হলো ড্যাফোডিল পলিটেকনিকে যমুনায় ৮ দলের প্রতিনিধি, আশপাশ এলাকায় নেতাকর্মীরা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হলেন হুমায়ুন কবির  মেয়েকে ধর্ষণ, নরপিশাচ পিতার কারাদণ্ড কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিকে নিয়ে পাহাড়সম অভিযোগঃ ১০ মাসেও হয়নি কাউন্সিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম : শিক্ষক,লেখক-সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিম্যান একজনের বিদায়

সূচকের বড় উত্থান-পতন, বাজার মূলধন কমলো ৩৩ হাজার কোটি টাকা

Ayesha Siddika | আপডেট: ২৬ জানুয়ারী ২০২৪ - ০৩:৪৮:০৯ পিএম

ডেস্ক নিউজ : পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)

সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৪.১৮ শতাংশ বা ৩২ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা। চলতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৫৪ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকা। আর গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এ মূলধন ছিল ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৯০৪ কোটি টাকা।

গত সপ্তাহের চেয়ে কমেছে ডিএসইর সব কটি সূচকও। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৮০.৩৫ পয়েন্ট বা ২.৮৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বেড়েছিল ৩২ হাজার ৯৩৮ শতাংশ।

এদিকে ডিএসইএস সূচক কমেছে ৩৬.০১ পয়েন্ট বা ২.৫৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বেড়েছিল ১২.৩৭ পয়েন্ট বা ০.৯০ শতাংশ। আর ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ১৫.১০ পয়েন্ট বা ০.৭১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বেড়েছিল ১১.৮০ পয়েন্ট বা ০.৫৬ শতাংশ।
 
তবে সূচকের এ নিম্নমুখী প্রবণতার পরও ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ৮৫২ কোটি ১৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৬৩৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা। লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ২১৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা বা ৩৩.৪০ শতাংশ।
 
এ ছাড়া প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৩৩.৪০ শতাংশ বা ২৪২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৯৭০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৭২৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
 
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৪০৭টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৪টি কোম্পানির, কমেছে ৩০৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
 
লেনদেনের শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ থাই অ্যালুমিনিয়াম। এ ছাড়া ওরিয়ন ইনফিউশন, ফরচুন সুজ, ফু-ওয়াং ফুডস, দেশবন্ধু পলিমার, কর্ণফুলি ইন্সুরেন্স, লাফার্জহোলসিম, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ব্র্যাক ব্যাংক ও সি পার্ল ছিল শীর্ষ ১০টি প্রতিষ্ঠানের তালিকায়।
 

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)

অন্যদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৬.৬৬ ও সিএসসিএক্স সূচক ৬.৫৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৭ হাজার ৫৫২.১২ পয়েন্টে ও ১০ হাজার ৫১০.০৪ পয়েন্টে। এ ছাড়া সিএসআই সূচক ৫.৫৯ শতাংশ ও সিএসই-৫০ সূচক ৪.৮২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ১৩০.৫৭ পয়েন্টে ও ১ হাজার ২৫০.২২ পয়েন্টে। আর সিএসই-৩০ সূচক কমেছে ১.৭১ শতাংশ। সূচক অবস্থান করছে ১৩ হাজার ১৯২.৪৪ পয়েন্টে।

সপ্তাহ ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে ৯২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
 
সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৩৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৬টির, কমেছে ২৪৪টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টি কোম্পানির শেয়ার দর।
 
এর আগে পুঁজিবাজারে কর্মচঞ্চলতা ফেরাতে গত ১৮ জানুয়ারি বেশিরভাগ শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস তুলে নিয়েছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। তবে ৩৫ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ফ্লোর প্রাইস বহাল রাখা হয়েছিল। ২২ জানুয়ারি সেখান থেকে ২৩ টি প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রাইস বাতিল করেছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
 
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম সময় সংবাদকে জানান, পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে কমিশন ১২ প্রতিষ্ঠান বাদে বাকিগুলোর ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়া হয়েছে। ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাভাবিক সার্কিট ব্রেকার কার্যকর হবে। আর ফ্লোর প্রাইসের আওতায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
 
ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়ার কারণে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং বাজারে গতি ফিরে আসবে বলেও আশা রেজাউল করিমের। এর আগে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে শেয়াববাজারে সূচকের পতন ঠেকাতে ২০২১ সালের জুলাই শেষে প্রতিটি শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে বিএসইসি। ফ্লোর প্রাইস ছিল বছরের ২৮ জুলাই ও তার আগের চার দিনের ক্লোজিং প্রাইসের গড়।
 
তবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে ১৬৯টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হয়েছিল। পরে ২০২৩ সালের মার্চে আবার ১৬৯টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর থেকে সব শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস ছিল।

 

 

কিউটিভি/আয়শা/২৬ জানুয়ারী ২০২৪,/দুপুর ২:৪৫

▎সর্বশেষ

ad