যত্নে রাখুন প্রবীণদের

Ayesha Siddika | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৩ - ০৪:১৭:২২ পিএম

লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : আজ আন্তর্জাতিক ৩৩তম প্রবীণ দিবস। ১৯৯০ সালে জাতিসংঘ প্রতিবছর ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রবীণদের সুরক্ষা এবং অধিকার নিশ্চিতে ১৯৯১ সাল থেকে এ দিবসটি পালন শুরু হয়।

প্রবীণরা সমাজে সম্মানিত ও শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। তাদের প্রতি যত্নশীল হওয়া সবারই কর্তব্য। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উৎকর্ষ ও আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতির কারণে দেশে প্রবীণের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

বর্তমান কর্মব্যস্ত জীবনধারা এবং একক পারিবারিক সংস্কৃতিতে বয়স্কদের সুস্থ ও সুখী রাখা আগের চেয়ে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাঁদের যত্নের প্রয়োজন হবে আগের চেয়ে বেশি। এই সময়ে তাঁদের যত্ন নেওয়ার জন্য কয়েকটি কথা মাথায় রাখা দরকার।

স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখুন

বৃদ্ধ বয়সে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রমে ভোগেন বেশিরভাগ প্রবীণ। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, অস্টিওপোরোসিস, চোখের অসুখ, পুরুষদের প্রোস্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে যাওয়া, কিডনিতে ও লিভারের নানা সমস্যায় ভোগেন প্রবীণরা।

বয়সের সাথে সাথে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার ফলে এ সময় মানুষ খুব সহজে রোগাক্রান্ত হয়। সুতরাং বাড়ির প্রবীণ মানুষটি কোনো রোগে আক্রান্ত হলে তার সঠিক যত্নের পাশাপাশি নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সময়মত ওষুধ খাওয়াতে হবে।

শারীরিকভাবে সক্রিয় রাখা

শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকার ফলে শরীরে বয়সের প্রভাব কমে যায়। প্রবীণদের জন্য হালকা কিছু ব্যায়াম করা জরুরি যা হৃদস্পন্দন বাড়ায় এবং সঠিক রক্তপ্রবাহ বজায় রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ব্যায়াম শরীর এবং মন ভালো রাখে। নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরে ডায়াবিটিস, আলজাইমার এবং ডিমেনশিয়া হওয়ার আশঙ্কাও কমে।

সুষম খাদ্য জরুরি

প্রবীণদের গুরুতর রোগের ঝুঁকি কমাতে সুষম খাদ্য দিতে হবে। তাঁদের কম স্যাচুরেটেড ফ্যাট আইটেম (ঘি-তেল-মাখন-বিস্কুট-চর্বিহীন মাংস) এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেশি দেওয়া উচিত। প্রবীণ ব্যক্তিদের তাজা খাবার খেতে হবে এবং বেশি করে পানি ও তরল জাতীয় খাবার দিতে হবে। প্রবীণদের উপযুক্ত পরিমাণে ফল, সবজি এবং গোটা শস্য দিতে হবে।

পরিপূর্ণ ঘুম হওয়া জরুরি

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রবীণদের ঘুমের সমস্যা দেখা যায়। এই বয়সে ঘুমের অভাবে হার্ট ও মস্তিষ্ক সংক্রান্ত নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পরিমিত পরিমাণে ঘুমানো উচিত, প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঘুমের ওষুধ সেবন করা যেতে পারে। ভালো ঘুমের জন্য শরীরচর্চা, যোগব্যায়াম, ধ্যান, গান শোনা, হাঁটাহাঁটি করার অভ্যাস করা যেতে পারে।

ঘুরতে নিয়ে যান, সময় দিন

বৃদ্ধ বলে যে প্রবীণকে নিয়ে কোথায় ঘুরতে যাবেন না, এ কাজটি কখনো করবেন না। তাদেরও ইচ্ছে হয় খোলণা হাওয়ায় সময় কাটানোর। মাঝে মধ্যে তাকে নিয়ে ঘুরতে যান। এ ছাড়া পরিবারের সবার সঙ্গে যদি সময় কাটাতে পছন্দ করেন তাহলে তাকে বেশি সময় দিন। এ ছাড়া টিভি দেখা, গান শোনা, বই পড়াসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ব্যবস্থা রাখুন প্রবীণের কাছে।

তার চারপাশ নিরাপদ রাখুন

যেখানে প্রবীণ থাকেন সে স্থান বা সেই বাড়ি যথাসম্ভব নিরাপদ রাখার চেষ্টা করতে হবে। চেষ্টা করতে হবে খোলামেলা পরিবেশে রাখার এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন স্থানে রাখার। প্রবীণের ব্যবহৃত বাথরুম যেনো পিচ্ছিল না হয়।

দেখাশোনার মানুষ রাখুন

বর্তমান সময়ে সবাই কর্মব্যস্ত। পরিবারে যদি কোনো প্রবীণ থাকেন ও তার দেখাশুনা করার জন্য পরিবারের কোনো মানুষ না থাকলে দেখাশোনার জন্য কেয়ারটেকার রাখুন। যিনি সব সময় প্রবীণের দেখাশুনা করবেন। তবে কর্মব্যস্ততা শেষে চেষ্টা করুন নিজে সময় দেয়ার।

 

 

কিউটিভি/আয়শা/০১ অক্টোবর ২০২৩,/বিকাল ৪:১৪

▎সর্বশেষ

ad