বরগুনায় আমন ধানের বীজতলা নষ্ট, বিপাকে কৃষকরা

Ayesha Siddika | আপডেট: ১৬ আগস্ট ২০২৩ - ০৫:২৩:২১ পিএম

ডেস্ক নিউজ : টানা বৃষ্টিতে পানি জমে বরগুনার তালতলীতে প্রায় ২০০ হেক্টর ফসলি জমির বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। পানি নেমে যাওয়ার পরে মাঠের দিক তাকিয়ে চোখের জল ফেলছেন প্রায় দুই হাজার কৃষক আমনের মাঠে পঁচে যাওয়া বীজের দৃশ্য দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। সময় থাকলেও বীজের অভাবে নতুন করে বীজতলা তৈরি করতে পারছেন না তারা। বাজারে কোনো ডিলারের কাছে বীজধান মজুদ নেয়।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় এবার ১৬ হাজার ৩০০ হেক্টর আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই লক্ষ্য নিয়ে বিআর-১১, বিআর-৫২ ও বিআর-২২সহ বিভিন্ন জাতের ধান চাষের জন্য ১ হাজার ২০০ হেক্টর বীজতলা তৈরি করা হয়। কিন্তু অতিবৃষ্টিতে ১৩২ হেক্টর আংশিক ও ৬৬ হেক্টরের পুরোপুরি বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। বীজ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সরকারি সহায়তা দাবি করেছেন কৃষকরা।

উপজেলার কলারং এলাকার চাষি হামিদ মাতুব্বর বলেন, আমার ১৬০ কেজি আমন বিজতলা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন করে বীজতলা তৈরির জন্য ডিলারের কাছে বীজধান কিনতে গিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো ডিলারের কাছে বীজধান পাইনি। এই বছর মনে হয় চাষাবাদ হবে না যদি সরকারিভাবে সহযোগিতা না করে। সওদাগরপাড়া এলাকার কৃষক নিজাম হাওলাদার জানান, টানা ১০ থেকে ১২ দিনে ভারি বৃষ্টিতে ২০০ কেজি ধানের বীজতলা পানিতে ডুবে থাকায় পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে এবার আর আমন চাষ করা সম্ভব নয়। নতুন ধান চাষাবাদের জন্য অনেক জায়গায় যোগাযোগ করেও বীজ সংগ্রহ করতে পারিনি।

আরেক কৃষক নুরজামান বলেন, আমার সব বীজ নষ্ট হয়ে গেছে। এখন কোথাও বীজ পাই না। কি করব ভেবে পাই না। মাতুব্বর স্টোরের ডিলার হাফিজুর রহমান বলেন, টানা বৃষ্টিতে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অনেক কৃষক আমাদের কাছে এসেছেন বীজধান নিতে। বীজধান সংকটের কারনে আমরা কাউকে বীজ দিতে পারছি না।

তালতলী কৃষি অফিসার মো. সুমন হাওলাদার বলেন, ভারী বর্ষণে পানিতে এ উপজেলার আমনের বীজতলা নষ্ট হয়েছে। কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী ১ হাজার ২০০ জন কৃষের জন্য ৬ টন বীজ বরাদ্দ ছিল। কিন্তু এখন নতুন করে আর বরাদ্দের সুযোগ নেই। তবে কৃষকদের ক্ষতি সমাধানের জন্য বীজধান সংগ্রহ করার চেষ্টা চলছে।

 

 

কিউটিভি/আয়শা/১৬ অগাস্ট ২০২৩,/বিকাল ৫:২১

▎সর্বশেষ

ad