
স্পোর্টস ডেস্ক : একটা সময়ে বাংলাদেশের লক্ষ্যই ছিল সম্মানজনক হার। সেটা এখন অতীত! গত কয়েক বছর ধরে বিশেষ করে ওয়ানডে ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফর্ম করে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছে টাইগাররা। এখন ওয়ানডেতে যে কোনো দলের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে পারে বাংলাদেশ দল। চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। আসন্ন এই বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রস্তুতি জোরদার করছেন টাইগাররা।
আধুনিক ক্রিকেটে কোনো একটি দলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়াই করতে হলে ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং এই তিন বিভাগেই ভালো করতে হবে। শুধু তাই নয়, শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সঙ্গে ম্যাচ জিততে হলে গড়তে হবে বড় স্কোর। এজন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে ওপেনার এবং টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের ওপর।
ব্যাটসম্যানদের কাছে দলের প্রত্যাশা নিয়ে জাতীয় দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বলেন, ওপেনার হলে ১০ ওভার ব্যাট করতে হবে, কীভাবে শুরু করতে হবে এবং ফিল্ডিং রেস্ট্রিকশনের (৩০ গজের মধ্যে ফিল্ডার রাখার বাধ্যবাধকতা) সর্বোচ্চ ব্যবহার কীভাবে করতে হবে সেটাও ভাবতে হবে। মাঝে ব্যাট করলে পরিস্থিতি অন্যরকম থাকবে। কখনো চারজন বা পাঁচজন আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে আসতে হবে।
৯ মে ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে। ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে সিলেটে তিন দিনের প্রস্তুতি ক্যাম্প করে বাংলাদেশ দল। জাতীয় দলের প্রস্তুতি নিয়ে সিলেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শনিবার হাথুরুসিংহে আরও বলেন, ব্যাটসম্যানদের কীভাবে শুরু করতে হবে সেটা অনুশীলন করা গুরুত্বপূর্ণ। যদি এভাবে অনুশীলন না করেন তাহলে উইকেটে গিয়ে থমকে যেতে হবে। আমরা চাই কোন পরিস্থিতিতে কেমন খেলতে হবে সে বিষয়ে সবার মাথা পরিষ্কার থাকুক।
কিউটিভি/আয়শা/২৯ এপ্রিল ২০২৩,/বিকাল ৪:৪৫