
ডেস্ক নিউজ : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) দিয়ে বিএনপিকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানানো আওয়ামী লীগের লেটেস্ট কৌশল। তিনি বলেন, ‘২০১৪ ও ২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচন যেভাবে করেছে ফের একই কায়দায় নির্বাচন করতে নতুন নতুন কৌশল করছে আওয়ামী লীগ। এসব কৌশলের মধ্যে সবচেয়ে লেটেস্ট কৌশল হচ্ছে ইসিকে দিয়ে আমাদের চিঠি দিয়ে সংলাপের আমন্ত্রণ জানানো। আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে পরিকল্পিতভাবে নতুন খেলায় মেতেছে। এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই নিরপেক্ষ সরকারসহ ১০ দফা বাস্তবায়নে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সংকট একটাই, নির্বাচনের সময় যদি আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকে, তাহলে দেশে আর সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, এটা প্রমাণিত। শুধু জাতীয় নির্বাচন হয় স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও একই সমস্যা। এ সমস্ত বাদ দিয়ে আসল জায়গায় আসুন, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে হবে। সেটা নিয়ে কাজ করুন, সেটা নিয়ে কথা বলুন, সেটা নিয়ে ঘোষণা দিন। তা না হলে অন্য কোনো কিছুই দেশের মানুষ মেনে নেবে না।’
তিনি বলেন, ‘এই যে আওয়ামী লীগ, যাদের জোর করে ক্ষমতায় থাকার অভ্যাস। আমার মনে হয়, আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল। এই রাজনৈতিক দল যদি একটি দেশে থাকে, তাহলে তার সর্বনাশের জন্য আর কোনো কিছুর দরকার নেই; আওয়ামী লীগই যথেষ্ট। স্বাধীনতার পর যে স্বপ্ন ছিল, যে চেতনা ছিল, যে কমিটমেন্ট ছিল সমস্ত কিছু ভেঙে দিয়ে তারা একদলীয় শাসন বাকশাল কায়েম করেছে।’
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে চাপাবাজি শুরু করেছে। কিন্তু তাদের পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচন দেখলেই সেটা বোঝা যায়।’
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন প্রমুখ।
স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি
গত ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির এক যৌথ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল। কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৬ মার্চ ভোর ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশব্যাপী সব দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় থেকে দলের জাতীয় নেতারাসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশ্যে যাত্রা ও জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ।
সাভার থেকে ফিরে শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন। ওই দিনই কবর প্রাঙ্গণে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের উদ্যোগে দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (২৭ মার্চ) বেলা ১১টায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মুক্তিযোদ্ধা গণসমাবেশ হবে।
কিউটিভি/আয়শা/২৫ মার্চ ২০২৩,/রাত ১০:০৮