
মো. সাইদুল আনাম, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কুর্শা কে এন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরু নবীকে চড়-থাপ্পড় মারার অভিযোগ উঠেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মহন জোর্য়াদ্দার কুর্শা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের সামনে এ ঘটনা ঘটে।বিদ্যালয়টির কয়েকজন শিক্ষক জানান, আওয়ামী লীগ নেতা মহন জোর্য়াদ্দার তার নিজের জন্য অষ্টম শ্রেণি পাসের সার্টিফিকেট নিতে বিদ্যালয়ে আসেন।খাতায় তার নাম রয়েছে আল-আমীন কিন্তু তিনি মহন জোর্য়াদ্দার নামে সার্টিফিকেট নিতে চান। নামের মিল না থাকায় সার্টিফিকেট দিতে প্রধান শিক্ষক অপারগতা জানালে তাদের সামনেই চড়াও হয়ে প্রধান শিক্ষককে চড়-থাপ্পড় মেরে গলা ধাক্কা দিয়ে লাঞ্ছিত করেন তিনি।
ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক নুরু নবী বলেন, মহন জোর্য়াদ্দার আমাদের স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি। তিনি রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিজের জন্য অষ্টম শ্রেণি পাসের সার্টিফিকেট নিতে স্কুলে আসেন। ভুক্তভোগী শিক্ষক আরও বলেন, মহন এই বিদ্যালয় থেকেই এসএসসি পাস করেছিলেন। খাতায় তার নাম রয়েছে আল-আমীন কিন্তু তিনি মহন জোর্য়াদ্দার নামে সার্টিফিকেট নিতে চান। নামের মিল না থাকায় সার্টিফিকেট দিতে অপারগতা জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি আমাকে চড়-থাপ্পড় মেরে গলা ধাক্কা দেন। এছাড়া আমাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান। বিষয়টি বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি শামসুন নাহারকে জানিয়েছি, আমি তার বিচার চাই।এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মহন জোর্য়াদ্দার বলেন, আমি ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ছিলাম। পড়াশোনাও করেছি ওই প্রতিষ্ঠানে। এসএসসি পাসের সার্টিফিকেট হারিয়ে যাওয়ায় ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য অষ্টম শ্রেণি পাসের সার্টিফিকেট নিতে গেলে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে ঝামেলা হয়। তবে প্রধান শিক্ষককে চড়-থাপ্পড় মারার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শামসুন নাহার বলেন, মারধরের ঘটনা সঙ্গে সঙ্গে আমাকে জানানো হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক। অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবিষয়ে জানতে চাইলে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল আলম বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিউটিভি/অনিমা/০৫ ডিসেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/সকাল ১১:২১