
ডেস্ক নিউজ : সম্মেলন সামনে রেখে বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। এ সময় মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার দীর্ঘ দিন পর হল ও অন্যান্য শাখার কমিটি ঘোষণা, কমিটিতে বিতর্কিতদের স্থান দেয়াসহ নানা বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন তারা।
২০১৮ সালের ৩১ জুলাই এক বছর মেয়াদে দায়িত্বে আসার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতেই প্রায় ১০ মাস সময় নেন সনজিত-সাদ্দাম। আর হল কমিটিহসমূহ করেছেন মেয়াদ শেষ হওয়ার আড়াই বছর পর। ‘প্রটোকল’ পাওয়ার জন্যই এমন গড়িমসি কি না–সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে করোনায় দেড় বছর ক্যাম্পাস বন্ধ থাকাকে দায়ী করে সাদ্দাম হোসেন বলেন, ছাত্রলীগ প্রটোকলে বিশ্বাস করে না। যে স্থবিরতা তৈরি হয়েছে, তা কাটিয়ে ওঠা হবে।হল কমিটি গঠনে সনজিতের নিজের এলাকা ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রায় নয়জন শীর্ষ পদে দায়িত্ব পেয়েছেন। এটি ‘মাই ম্যান’ তৈরির প্রচেষ্টা কি না–এমন প্রশ্নের জবাবে সনজিত বলেন, এবারের মতো (অঞ্চলভিত্তিক) সমন্বয় কোনোবার হয়নি। সংগঠনের প্রতি প্রতিশ্রুতিশীল, এমন কাউকে তো বাদ দেয়া উচিত নয়। কেউই আঞ্চলিকতার বাহিরে নয় মন্তব্য করে এমন দোষারোপকে রাজনৈতিক ছলনা বলে আখ্যা দেন তিনি।
হল কমিটিগুলোতে চাঁদাবাজির অভিযোগে অভিযুক্ত, ছাত্র নির্যাতনকারী, ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের দায়ে বহিষ্কৃত এবং মাদকসেবীরা স্থান পেয়েছে–এমন অভিযোগের জবাবে সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘সংগঠনের পরিচয় ব্যবহার করে কেউ অনাকাঙিক্ষত ঘটনা ঘটাবে, সেটা প্রত্যাশিত নয়। এ রকম ঘটনা ঘটলে আমরা সংশ্লিষ্ট হল প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানাই।’
কিউটিভি/আয়শা/০২ ডিসেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ১২:৪৩