
ডেস্কনিউজঃ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির দাবি করেছে ইরানের এক সামরিক কম্যান্ডার। এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটোমিক এনার্জি এজেন্সি’ বা আইএইএ’র প্রধান রাফায়েল গ্রোসি এই উদ্বেগ জানান। তিনি বলেন, ইরানের তরফ থেকে এমন ঘোষণা সবার নজর কেঁড়ে নিয়েছে। এরফলে ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ খবর দিয়েছে আরব নিউজ।
মূলত ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র অ্যারোস্পেস ডিভিশনের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ এই হাইপারসনিক মিসাইল তৈরির কথা প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন। তার দাবি, এ ক্ষেপণাস্ত্র শত্রুর রাডার ভেদ করতে সক্ষম এবং একে ঠেকানোর ক্ষমতা পৃথিবীর কোনো দেশের নেই। মূলত হাইপারসনিক মিসাইলের গতি এত বেশি হয় যে এগুলো ঠেকানোর প্রযুক্তি এখন বিশ্বের কোনো দেশের কাছেই নেই। তাছাড়া এগুলো যাত্রাপথে নিজেদের গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে।
ইরানের কম্যান্ডার আলী হাজিজাদেহ বলেন, নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল কিংবা পৃথিবীর বাইরের বায়ুমণ্ডলে সমানভাবে চলতে সক্ষম। শত্রুর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এই ক্ষেপণাস্ত্রকে ঠেকাতে পারবে না।
শব্দের চেয়ে অন্তত পাঁচ গুণ বেশি গতিতে ছুটতে পারে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। তবে ইরানের এই ক্ষেপণাস্ত্রের গতি কতটা তা জানা যায়নি। জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ বলেন, উচ্চ গতির কারণে এই ক্ষেপণাস্ত্র যেকোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেদ করতে সক্ষম এবং আমি মনে করি না আগামী কয়েক দশকেও এই ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানোর প্রযুক্তি কেউ অর্জন করতে পারবে। তবে, ইরান এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে- সুস্পষ্টভাবে এমন কোনো খবর দেখা যায়নি।
ইরানের অস্ত্র কার্যক্রমের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে। তারপরও দেশটি সামরিক খাতে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে। গত সপ্তাহে ইরান জানিয়েছে, তারা কায়েম-১০০ রকেটের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। এর মাধ্যমে ৮০ কেজি ওজনের স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা সম্ভব হবে।
বিপুল/১১.১১.২০২২/সন্ধ্যা ৬.৪৯