ব্রেকিং নিউজ
চিলমারীতে বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ : অব্যহতি দুই বিক্ষোভকারীকে কুড়িগ্রামে সেনাবাহিনী’র মাদক বিরোধী অভিযানে ফেনসিডিল, ইয়াবা ও গাঁজাসহ আটক ১ ঢাবি’র জহুরুল হক হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন পুনর্গঠন : সদস্য সচিব নিয়ে বিতর্ক রাস্তায় অভিনেতা সিদ্দিককে মারধরের ভিডিও ভাইরাল ইন্টারপোলের মাধ্যমে হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারির সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাবি দর্শন বিভাগের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত ঢাবি দর্শন বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ১৪তম পুনর্মিলনী ও কমিটি গঠিত হয়েছে সাইদ সোহরাব ও শেখ মো. নাসিম এর নেতৃত্বে ঢাবি মুহসীন হল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন গঠন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিসপ্লে-তে ভেসে উঠেলো ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’ কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, যুবদল নেতার মৃত্যু

দৌলতপুরে চাষীদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে সোনালী আঁশ

Ayesha Siddika | আপডেট: ২১ আগস্ট ২০২২ - ০৪:১৭:৩৭ পিএম

মো. সাইদুল আনাম, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : অনাবৃষ্টির ফলে খালে বিলে জলাশয়ে পানি না থাকায় পাটপচন নিয়ে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরসহ জেলার চাষীদের দুঃশ্চিন্তার অন্ত ছিলনা। তারপর স্যালো মেশিন দিয়ে পানি সরবরাহ করে সেই পানিতে পাটপচন করে এখন তারা সাফল্যের মুখ দেখছেন। আবার অনেকে অর্থের বিনিময়ে অন্যের জলাশয়ে ব্যবহার করে পাটপচন করছেন। এখন পাটকাটা শেষে পাটপচন, শুকানো পাট বিক্রয় নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা।

কৃষকের অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল সোনালী আঁশ বা পাট। আর এ সোনালী আঁশের জন্য কুষ্টিয়ার খ্যাতি রয়েছে। ফলে এবছরও কুষ্টিয়ায় পাটের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি মৌসুমে এ জেলায় ৪১ হাজার ৬৭৩ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমি বেশী। এরমধ্যে দৌলতপুরে চাষ হয়েছে ২০ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে। তবে পাট চাষ বৃদ্ধি পেলেও খাল বিল জলাশয়ে পানি না থাকায় পাটপচন নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় ছিলেন চাষীরা। দুঃশ্চিন্তাকে দূরে ঠেলে নিজস্ব প্রযুক্তি অর্থাৎ স্যালো মেশিন দিয়ে পানি উত্তোলন করে তা জলাশয়ে জমা করে সেই জলাশয়ে পাটপচন করেও সাফল্যের মুখ দেখছেন তারা।

তবে উৎপাদন খরচ বেশী হওয়ায় লাভের অংক কমেছে তাদের। তারপরও পাটচাষে খুশি তারা। এবছর বিঘাপ্রতি পাটচাষে চাষীদের খরচ হচ্ছে ৫ হাজার টাকা থেকে ৮হাজার টাকা। প্রতিমণ পাট বিক্রয় হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। বিঘাপ্রতি পাটের ফলন হচ্ছে ১০মন বা তারও বেশী। খরচ বাদ দিয়ে পাটচাষীরা লাভবান হচ্ছেন। দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মুন্সিগঞ্জ গ্রামের পাটচাষী আব্দুল জব্বার জানান, এবছর সে ৫বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলেন। বিঘাপ্রতি গড়ে তার ৫হাজার টাকা করে খরচ হয়েছে। নদী, খালে, বিলে ও জলায়শয়ে পানি না থাকার কারনে পাটপচন নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় ছিলেন তিনি। পরে স্যালো মেশিন দিয়ে বাড়ির পাশে খাদে পানি দিয়ে সেখানে পাটপচন করেছেন। বিঘাপ্রতি গড়ে ৯-১০মণ হারে পাট হয়েছে।

২৫০০ টাকা মন দরে পাট বিক্রয় করে লাভের মুখ দেখছেন। তবে খরচের তুলনায় লাভের অংশ কমেছে বলে তিনি জানান। একই কথা বলেছেন উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের আমদহ কামালপুর গ্রামের পাটচাষী পিয়ার আলী। তিনি জানান, পাটের ফলন ভাল হলেও পাটপচন নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। পরে মেশিনে পানি দিয়ে পাটপচন করেছি। তবে এবছর পাটের দাম কম হওয়ায় লাভও কম হচ্ছে। তিনি পাটের মূল্য বৃদ্ধির দাবী জানান।

পাটের উৎপাদন বৃদ্ধিতে চাষীদের প্রশিক্ষণ, নতুন জাতের বীজ, সার ও প্রণোদনা প্রদানসহ প্রয়োজনীয় পরমার্শ দেওয়ায় এবছরও কুষ্টিয়ায় পাটচাষ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ফলনও ভাল হচ্ছে। চাষীরা পাটের ভাল দামও পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম। বিগত বছরগুলো সোনালী আঁশ পাট ছিল চাষীদের গলার কাটা। পাটের সুদিন ফেরায় গত কয়েক বছর ধরে তারা পাটের মূল্য ভাল পাওয়ায় সে কাটা এখন গলার মালায় পরিণত হয়েছে। আর এ ধারা যেন অব্যাহত থাকে সে দিকটা খেয়াল রাখার দাবী পাট চাষীদের।

 

 

কিউটিভি/আয়শা/২১ অগাস্ট ২০২২, খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৪:১৪

▎সর্বশেষ

ad