বৃষ্টি নেই, বাড়তি ব্যয়ের কবলে নন্দীগ্রামের আমন চাষিরা

Ayesha Siddika | আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২২ - ১২:৫৫:৪৫ পিএম

ডেস্ক নিউজ : আমন ধান রোপণের ভরা মৌসুম আষাঢ় মাস শেষ হয়ে গেলেও বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় বেশ কিছুদিন বৃষ্টির দেখা নেই। বৃষ্টির অভাবে মাঠের পর মাঠ ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। ফলে আমন চাষিদের সেচপাম্পের পানিই এখন একমাত্র ভরসা। এতে কৃষকের খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিবছর আষাঢ় মাসেই বৃষ্টির পানিতে আমন ধান রোপণ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন কৃষক। কিন্তু এবার দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে পানি সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এতে পানির অভাবে অনেক কৃষক ধান রোপণ করতে পারছেন না। তীব্র রোদে ধান চাষের মাঠগুলো খাঁ খাঁ করছে। পানি না থাকায় হালচাষ ও ধান রোপণে কৃষকের ব্যস্ততা নেই। মাঠে মাঠে চড়ছে গরু-ছাগলের পাল। অন্যদিকে বৃষ্টির অভাবে কিছু জমিতে সদ্য রোপণ করা আউশ ধানের ক্ষেত নিয়েও বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।

উপজেলার কাথম গ্রামের কৃষক ফেরদৌস সরদার জানান, আমন চারার বয়স পেরিয়ে গেলেও জমিতে পানি না থাকায় তা রোপণ করতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে সেচ দিয়ে আমন রোপণ শুরু করেছেন। এতে তাকে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে। বৃষ্টিনির্ভর আমন চাষ হওয়ায় জেলার অধিকাংশ কৃষক বৃষ্টির জন্য আকাশের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন।

কালিকাপুর গ্রামের কৃষক রাজু আহমেদ বলেন, আষাঢ় মাস শেষ হয়ে গেলেও খরা চলায় বেশিরভাগ কৃষক এখন বাধ্য হয়ে বৈদ্যুতিক পাম্প ও শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচের মাধ্যমে ধান রোপণ করছেন। জমিতে পানি দেওয়ার জন্য বিঘাপ্রতি পাম্প মালিককে দিতে হচ্ছে৬০০ টাকা করে, যা বাড়তি খরচ। এতে বেড়ে যাচ্ছে চাষের ব্যয়।

কৃষক বাবু মিয়া বলেন, আর কত্যোদিন বিষ্টির জন্য বসে থাকব্যার কচ্ছেন। বিছন (চারা) তো গ্যাট লাগে যাচ্ছে (রোপন অযোগ্য)। তাই পাম্পের পানি দিয়েই বিছন লাগান শুরু করছি। নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আদনান বাবু বলেন, চলতি বছর এই উপজেলায় ২০ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি আমন মৌসুমে খরার প্রকোপ চলছে। প্রচণ্ড রোদ অব্যাহত থাকলে কৃষকদের সেচযন্ত্রের মাধ্যমে জমিতে পানি দিয়ে চাষ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

 

 

কিউটিভি/আয়শা/১৫ জুলাই ২০২২, খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ১২:৫৪

▎সর্বশেষ

ad