
ডেস্ক নিউজ : বাংলাদেশের রাজনীতিতে বরাবরই চমক ড. রেজ কিবরিয়া। বাবা ছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এমএস কিবরিয়া। গ্রেনেড হামলায় জীবন দিয়েছেন। কিন্তু আওয়ামী এই হত্যার বিচার করেনি। ক্ষোভে অভিমানে দল ছাড়েন রেজা।
এরপর গণফোরামে ভাঙাগড়ার খেলা শুরু হয়। একপর্যায়ে ড. কামাল হোসেনের সঙ্গ ছাড়েন রেজা কিবরিয়া। নতুন দল গঠন করেন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরকে সঙ্গে নিয়ে। গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। কিন্তু নুরের সঙ্গেও বেশি দিন বনীবনা হয়নি তরুণ এই রাজনীতিকের।একপর্যায়ে গণঅধিকার পরিষদ ভেঙে যায়। নুর আলাদা কমিটি করেন।
একপর্যায়ে রাজনীতি থেকেই দূরে সরে যান রেজা কিবরিয়া। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে বেশ কিছুদিন রাজনীতি থেকে নির্বাসনে থাকেন। কিন্তু সেটি আর দীর্ঘ হয়নি। রক্তে যে রাজনীতির ধারাবাহিকতা!
শেষ পর্যন্ত আবারও চমক দেখিয়ে বিএনপিতে যোগ দিলেন রেজা কিবরিয়া। সোমবার (১ ডিসেম্বর) গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যুক্ত হন তিনি।
যোগ দিয়ে রেজা কিবরিয়া বলেন, বিএনপিতে যোগ দিতে পেরে আমি গর্বিত। আমি আজকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগদান করেছি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা অত্যন্ত গর্বিত যে, রেজা কিবরিয়া এসে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আমি আমাদের দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তাকে অভিনন্দন জানাই। তাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।
বিএনপির ৩১ দফার আলোকে রেজা কিবরিয়া বাংলাদেশ গঠন ভূমিকা রাখতে পারবে বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। রেজা কিবরিয়া হবিগঞ্জ-১ আসন থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করতে চান। বিএনপির আগামী সংসদ নির্বাচনে জন্য ২৩৭ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। সেখানে হবিগঞ্জ-১ আসনটি ফাঁকা রেখেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রেজা কিবরিয়া বিএনপির জোটসঙ্গী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে একই আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকেই নির্বাচন করেছিলেন।
খোরশেদ/০১ ডিসেম্বর ২০২৫,/বিকাল ৫:৩৪






