
ডেস্ক নিউজ : সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন। তার স্বাস্থ্য নিয়ে নানারকম বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে।
বিভ্রান্তির বিষয়ে রিজভী বলেন, ‘নানা ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। এই বিভ্রান্তিতে কেউ যেন কান না দেয়। আমি যেটা বললাম এটাই হলো খালেদা জিয়ার সবশেষ আপডেট।’ রাজধানীতে এক দোয়া মাহফিলে সোমবার তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় এ দোয়ার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, খালেদা জিয়া শুধু বিএনপির নেত্রী নন। তিনি সারা দেশের নেত্রী, জাতীয় নেত্রী। সারাদেশের মানুষ আজ তার জন্য দোয়া করছে।
তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করব, তিনি যেন দ্রুত আরোগ্য লাভ করেন। উনাকে যেন সুস্থ অবস্থায় আবারও দেশবাসীর মাঝে ফিরিয়ে দেন। এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সতর্কতার সঙ্গে তথ্য প্রকাশের আহ্বান জানানো হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে।
দলটি আজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আপডেট দেবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও বলা হয়েছে, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত তথ্য গণমাধ্যমে জানাবেন ডা. জাহিদ। এ বিষয়ে অযাচিত, যাচাই বাছাইহীন, বিভ্রান্তিমূলক কোনো তথ্য প্রচার থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এর আগে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য ডা. জাহিদ ও দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানাবেন। প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, ‘সিসিইউ থেকে আইসিইউ, আইসিইউ থেকে ভেন্টিলেশন, যা-ই বলি না কেন, ম্যাডাম খুব ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে আছেন। এর বাইরে বলার মতো কিছু নেই। শুধু ম্যাডামের জন্য জাতির কাছে দোয়া চাই।’
এ বক্তব্য এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরও কিছু পোস্ট ছড়িয়ে পড়ার পর উদ্বেগ বাড়তে থাকে। পরে বিএনপির পক্ষ থেকে বিভ্রান্তির বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়। উল্লেখ্য, ৮১ বছর বয়সি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনি জটিলতাসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। গত ২৩ নভেম্বর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে দ্রুত তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর আগে ১৫ অক্টোবর তিনি এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। একদিন থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করেন।
এর আগে গত ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। সেখানে ১১৭ দিন অবস্থান শেষে ৬ মে দেশে ফেরার পর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাচ্ছিলেন।
খোরশেদ/০১ ডিসেম্বর ২০২৫,/বিকাল ৪:২২






