
ডেস্ক নিউজ : অনেকে জানতে চান, নফল নামাজ ভেঙে ফেললে করণীয় কী? এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, নফল নামাজ শুরু করার পর পূর্ণ করা ওয়াজিব হয়ে যায়। কেউ যদি শুরু করার পর নফল নামাজ ভেঙে ফেলে, তাহলে ওই নামাজটি পরবর্তীতে পড়ে নেয়া আবশ্যক হয়ে যায়।
ইসলামে নফল নামাজ বলতে এমন নামাজ বোঝায় যা আদায় করলে সওয়াব রয়েছে কিন্তু আদায় না করলে গুনাহ নেই। কিছু নফল নামাজ নির্দিষ্ট সময়ে পড়তে হয়; যেমন শেষ রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ, সূর্য ওঠার পর ইশরাকের নামাজ, সূর্য তেঁতে ওঠার পর চাশতের নামাজ, মাগরিবের পর আউওয়াবিন নামাজ ইত্যাদি। এ ছাড়া তিনটি হারাম ওয়াক্ত বা সময় ছাড়া দিনের যেকোনো সময় নফল নামাজ পড়া যায়। দুই রাকাত বা চার রাকাত করে নফল নামাজ পড়া যায়। নফল নামাজের প্রতি রাকাতেই সুরা ফাতেহার সাথে সুরা মেলাতে হয়।
নফল নামাজও কিয়ামতের দিন নাজাতের জন্য সহায়ক হবে। কেয়ামতের দিন যখন মানুষের ফরজ ইবাদতে কোনও ঘাটতি দেখা দেবে আল্লাহ তায়ালা এসময় বান্দার নফল ইবাদত আছে কিনা তার খোঁজ নেবেন।
হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
নিশ্চয় কেয়ামতের দিন বান্দার যে কাজের হিসাব সর্বপ্রথম নেওয়া হবে তা হচ্ছে নামাজ। সুতরাং যদি তা সঠিক হয়, তাহলে সে পরিত্রাণ পাবে। আর যদি (নামাজ) খারাপ হয়, তাহলে সে ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি তার ফরজের (ইবাদতের) মধ্যে কিছু কম পড়ে যায়, তাহলে আল্লাহ তায়ালা বলবেন, ‘দেখ তো! আমার বান্দার কিছু নফল (ইবাদত) আছে কি না, যা দিয়ে ফরজের ঘাটতি পূরণ করে দেওয়া হবে?’ অতঃপর তার অবশিষ্ট সমস্ত আমলের হিসাব ঐভাবে গৃহীত হবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৮৬৪, তিরমিজি, হাদিস : ৪১৩)
আয়শা/১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, /সন্ধ্যা ৬:১২