
লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : বর্তমানে ‘গ্লুটেন-মুক্ত ডায়েট এক ধরনের স্বাস্থ্য ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া, বিভিন্ন ব্লগ এবং সেলিব্রিটি ডায়েট প্ল্যানের কল্যাণে অনেকেই গ্লুটেনকে ক্ষতিকর মনে করে তা খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিচ্ছেন। কিন্তু আদৌ কি গ্লুটেন এতটা ক্ষতিকর? প্রতিবেদনে মুম্বাইয়ের জসলোক হাসপাতালের পরামর্শক গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ডা. অজয় ঝাভেরি জানাচ্ছেন, গ্লুটেন মূলত এক ধরনের প্রোটিন, যা গম, যব এবং রাইয়ের মতো শস্যে পাওয়া যায়। এটি অধিকাংশ মানুষের জন্য নিরাপদ এবং পুষ্টিকর। এতে রয়েছে ফাইবার, আয়রন এবং বি-ভিটামিন, যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়।
- সিলিয়াক রোগীরা গ্লুটেন খেলে অন্ত্রে ক্ষত সৃষ্টি হয়, পুষ্টি শোষণ ব্যাহত হয় এবং নানা উপসর্গ দেখা দেয়।
- নন-সিলিয়াক গ্লুটেন সংবেদনশীলতা যাদের রয়েছে, তাদের পেট ফাঁপা, গ্যাস বা মস্তিষ্ক ঝাপসা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।
- গম অ্যালার্জি থাকলে গ্লুটেন গ্রহণের ফলে র্যাশ, শ্বাসকষ্ট বা তীব্র অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
কারা গ্লুটেন খেতে পারবেন: যাদের এসব শারীরিক সমস্যা নেই, তারা গ্লুটেন খেতে পারেন নিশ্চিন্তে। বরং, অকারণে গ্লুটেন-মুক্ত ডায়েট অনুসরণ করলে দেখা দিতে পারে পুষ্টির ঘাটতি। কারণ বাজারে থাকা অনেক গ্লুটেন-মুক্ত খাবার অত্যন্ত প্রক্রিয়াজাত ও দামি।
গ্লুটেন-মুক্ত ডায়েট কাদের জন্য কার্যকর:
- গ্লুটেন সংবেদনশীল ব্যক্তিরা
- সিলিয়াক রোগে আক্রান্ত রোগীরা
- গম অ্যালার্জি রয়েছে যাদের
অকারণে গ্লুটেন বাদ দিলে যা হতে পারে:
- ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতি
- দৈনন্দিন খাদ্যের ব্যয় বৃদ্ধি
- স্বাস্থ্যকর শস্য এড়িয়ে যাওয়ার ঝুঁকি
ডা. ঝাভেরির মতে, সবার জন্য গ্লুটেন খারাপ এমন ধারণা ভুল। কারও কোনো উপসর্গ দেখা গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন আনতে হবে। নিজে নিজে ডায়েট বদলানো বা সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব দেখে গ্লুটেন বাদ দেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। সবাইকে এক নিয়মে মাপা ঠিক নয়। গ্লুটেন শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু রোগীর জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই খাদ্য নির্বাচনের আগে সচেতন হন, ভয় নয়, জেনে-বুঝেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিন।
আয়শা/২৪ জুলাই ২০২৫,/রাত ১০:৫৫