
লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : ফিটনেসপ্রেমী ও অ্যাথলেটদের মধ্যে প্রাক-ওয়ার্কআউট ড্রিঙ্ক হিসেবে বিটের রসের চাহিদা বাড়ছে। নতুন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যায়ামের আগে বিটের রস খেলে সহনশীলতা বৃদ্ধি, ক্লান্তি দূর এবং পারফরম্যান্সে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
বিটে থাকা প্রাকৃতিক নাইট্রেট শরীরে ঢুকে নাইট্রিক অক্সাইডে রূপান্তরিত হয়, যা রক্তনালী প্রসারিত করে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি করে। ফলে পেশিতে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়ে, যা ওয়ার্কআউটের সময় শক্তি ও স্ট্যামিনা ধরে রাখতে সহায়তা করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, বিটের রস খেলে সহনশীলতা ১৬ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে এবং ক্লান্তি আসতে দেরি হয়। দৌড়বিদ, সাইক্লিস্ট এবং নিয়মিত জিমে যাওয়া অনেকেই ওয়ার্কআউটের আগে বিটের রস খাচ্ছেন।
কেন কার্যকর?
নাইট্রিক অক্সাইড হৃদপিণ্ড ও ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়, ফলে কম অক্সিজেন খরচে দীর্ঘ সময় ব্যায়াম করা সম্ভব হয়। এতে করে পেশিতে পাম্প বাড়ে, ফোকাস ধরে রাখা যায় এবং ব্যায়ামের পর দ্রুত রিকভারি হয়।
স্বাস্থ্যকর ও সাশ্রয়ী বিকল্প
সাধারণ প্রি-ওয়ার্কআউট ড্রিঙ্কে উচ্চ ক্যাফেইন ও চিনি থাকে, যা উচ্চ রক্তচাপ এবং অস্থিরতার ঝুঁকি তৈরি করে। সেখানে বিটের রস প্রাকৃতিক এবং সাশ্রয়ী। এটি:
১. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে
২. হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়
৩. লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে
কখন ও কতটুকু খাবেন?
ওয়ার্কআউটের ৯০-১২০ মিনিট আগে ২৫০-৫০০ মিলি বিটের রস পান করলে সর্বোত্তম ফলাফল পাওয়া যাবে। অনেকে কাঁচা বিটের সাথে আপেল, আদা ও লেবু মিশিয়ে স্বাদ ও পুষ্টিগুণ বাড়িয়ে খেয়ে থাকেন।
সতর্কতা
কিডনির পাথরের সমস্যা থাকলে বা রক্তচাপের ওষুধ খেলে নিয়মিত বিটের রস খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। বিটের রস খেলে প্রস্রাবের রঙ গোলাপি বা লালচে হতে পারে, যা ক্ষতিকর নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্যাফেইননির্ভর প্রি-ওয়ার্কআউটের চেয়ে বিটের রস একটি স্বাস্থ্যকর ও কার্যকর প্রাকৃতিক বিকল্প হতে পারে।
কিউটিভি/আয়শা//১৯ জুলাই ২০২৫,/দুপুর ২:০০