
ডেস্ক নিউজ : মাওলানা নোমান বিল্লাহ
জান্নাতে সবার আগে প্রবেশ করবেন নবীদের সর্দার ও মহামানব হজরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এ ব্যাপারে একাধিক হাদিস রয়েছে।
এ ব্যাপারে নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘আমি সর্বপ্রথম জান্নাতের দরজায় টোকা দেব।’ অন্য হাদিসে তিনি বলেন, ‘আমি জান্নাতের দরজায় এসে দরজা খুলতে বলব। তখন দারোয়ান বলবে, কে তুমি? আমি বলব, মুহাম্মদ। তখন সে বলবে, হ্যাঁ, আপনার ব্যাপারে আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যেন আপনার আগে কারো জন্য জান্নাতের দরজা না খুলি।’ (মুসলিম ১৯৭)
তবে নারীদের মধ্যে সবার আগে কে জান্নাতে প্রবেশ করবেন সে ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোনো বর্ণনা পাওয়া যায় না। বিভিন্ন হাদিসে জান্নাতে নারীদের নেত্রী কারা হবেন, তাদের বর্ণনা এসেছে।
রসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘জান্নাতের নারীদের সর্দার হবে মারিয়াম বিনতে ইমরান, ফাতেমা, খাদিজা ও ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া।’ (তাবরানি ৪১৫/১১) হজরত আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেছেন, রসুল (স.) জমিনে চারটি রেখা টানেন। তারপর বলেন, তোমরা কি জানো, এগুলো কী? সাহাবিরা বললেন, আল্লাহ ও তার রসুল ভালো জানেন। তিনি বলেন, ‘জান্নাতবাসীর মধ্যে সর্বোত্তম নারী হলো খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ (রা.), ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ (রা.), মারিয়াম বিনতে ইমরান ও আসিয়া বিনতে মাজাহিম।’ (মুসতাদরাক হাকিম ২৯০৩)
মুস্তাদরাক হাকিমে কয়েকটি বর্ণনা রয়েছে যে, নারীদের মধ্যে সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশকারিণী হজরত ফাতিমা বিনতে মুহাম্মাদ। এই বর্ণনাগুলোর উপরে ইমাম যাহাবী রহিমাহুল্লাহ আপত্তি উত্থাপন করে বলেছেন, সনদের দিক থেকে এ রিওয়ায়াতগুলো মুনকার।
তাই সরাসরি বলা যায় না কোন নারী জান্নাতে আগে প্রবেশ করবেন। সমাজে প্রচলিত ধারণা আছে যে সবার আগে হজরত ফাতেমা রা. জান্নাতে প্রবেশ করবেন। কেউ কেউ আবার মনে করে কোনো এক কাঠুরিয়ার স্ত্রী জান্নাতে প্রবেশ করবেন। এগুলোর সুস্পষ্ট কোনো ভিত্তি নেই। তাই এসব বিষয়ে আলোচনা করাও অনুচিত।
কিউটিভি/আয়শা/১৭ অক্টোবর ২০২৪,/রাত ১১:১৮






