
ডেস্ক নিউজ : মাওলানা নোমান বিল্লাহ
চাঁদ ও সূর্যের আলো আল্লাহ তাআলা দিয়েছেন। যা মানুষসহ সব প্রাণীর উপকারে আসে। এ দুটি কীভাবে চলবে তাও আল্লাহ তাআলা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন,তিনিই সূর্যকে তেজস্বী ও চাঁদকে জ্যোতির্ময় করেছেন এবং তাদের গতিপথ (তিথি) নির্ধারণ করেছেন, যেন তোমরা বছর গণনা ও সময়ের হিসাব করতে পারো।’ (সুরা ইউনুস ৫)
আমরা যে মাস, সপ্তাহ, দিন হিসাব করতে পারি তা এই চাঁদ সূর্যের কারণে। যা আল্লাহ তাআলা আমাদের এই জ্ঞান দিয়েছেন। তিনি মানুষকে সময়ের একটি কাঠামো দিয়ে দিলেও তার কাছে সময়ের প্রশস্ততা, দৈর্ঘ্য ভিন্ন। সময়ের হিসাবও ভিন্ন। তিনি চাইলে যে কোনো মুহূর্তে সময়কে স্থির করে ফেলতে পারেন।
তিনি তা করেছেন দুইভাবে। এক. সময় গণনার মাধ্যম সূর্যকে থামিয়ে দিয়ে, দুই. সময়ের প্রভাব খর্ব করে। সময় গণনার মাধ্যম সূর্যকে থামিয়ে দিয়ে সময়ের গতি থামিয়ে দেয়া হয়েছিল হজরত ইউশা ইবনে নুন (আ.)-এর সময়। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (স.) বলেন, ‘তারা অভিযান পরিচালনা করল, তারা আসরের সময় বা তার নিকটবর্তী সময়ের জনপদের নিকটবর্তী হলো। তিনি (ইউশা ইবনে নুন) সূর্যের উদ্দেশে বললেন, নিশ্চয়ই তুমি আদিষ্ট এবং আমি আদিষ্ট। হে আল্লাহ, আপনি একে (সূর্য) আমাদের ওপর স্থির রাখুন।
তাকে স্থির রাখা হলো যতক্ষণ না আল্লাহ তাদের বিজয় দান করেছিলেন।’ (বুখারি ৩১২৪) এই হাদিসে জানা যায় হজরত ইউশা ইবনে নুন যখন জিহাদে যান তখন যুদ্ধের প্রয়োজনে তার সূর্য ডোবার আগে আরও সময় প্রয়োজন হয়। তখন তিনি সূর্যকে অনুরোধ করেন যেন তিনি কিছু সময়ের জন্য থেমে যান। তাই আল্লাহ তাআলার হুকুমে সূর্য থেমে যায়।
অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘মানুষের ওপর সূর্যকে কখনো স্থির রাখা হয়নি, তবে ইউশা (আ.)-এর জন্য রাখা হয়। যে রাতে তিনি বায়তুল মোকাদ্দাসে সফর করেন।’ (ফাদায়িলুল কুদস ১১৩) সময়ের সব ধরনের নিয়ন্ত্রণ আল্লাহর হাতে। তিনি তার প্রজ্ঞার আলোকে সময়কে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আবদ্ধ করেছেন। যেদিন এই শৃঙ্খলা ভেঙে যাবে এবং সময়ের গতি থেমে যাবে, সেদিন প্রতিশ্রুত কিয়ামত সংঘটিত হবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যখন চোখ স্থির হয়ে যাবে, চাঁদ জ্যোতিহীন হবে এবং সূর্য ও চন্দ্রকে একত্র করা হবে, সেদিন মানুষ বলবে, পালানোর জায়গা কোথায়?’ (সুরা কিয়ামাত ৭-১০)
কিউটিভি/আয়শা/১৫ অক্টোবর ২০২৪,/সন্ধ্যা ৭:৪৩