
ডেস্ক নিউজ : মুফতি আশরাফ জিয়া
পবিত্র কোরআনে রয়েছে, আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে জ্ঞানীরাই কেবল আল্লাহকে ভয় করে। (সুরা ফাতির : ২৮)। আর জ্ঞান অর্জন হয় বই পাঠে। পবিত্র কোরআনে যে-সব দৃষ্টান্ত রয়েছে, তা অনুধাবনের জন্যও জ্ঞানী হওয়া প্রয়োজন। যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেন,
মস্তিষ্ককে চিন্তা করার উপাদান তৈরি করে দেয়
চিন্তাশীল মানুষকে সবাই ভালোবাসে। চিন্তাশীল মানুষের ভুল ত্রুটিও কম হয়। আল্লাহ তাআলা মানুষকে চিন্তা করতে বলেছেন। বই মস্তিষ্ককে চিন্তা করার উপাদান তৈরি করে দেয়। একজন মানুষ যখন বইয়ের মধ্যে নতুন কোনো বিষয় পায় তখন সে এটা নিয়ে ভাবতে থাকে। এভাবে তার সামনে ভাবনার দুয়ার খুলে যায়।
সৃজনশীলতা বিস্তৃত করে
প্রতিটি সৃজনশীল লেখকই মনযোগী পাঠক৷ লেখা পাঠ থেকেই তৈরি হয়। যে লেখক যত বেশি বই পড়েন। তিনি তত বেশি সৃজনশীল লেখেন। বই মানুষের সৃজনশীলতা বিস্তৃত করে। শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ করে। কল্পনাশক্তি উন্নত করার মাধ্যমে মানুষের কল্পনার জগতকে বড় করে তোলে। সমাজ নিয়ে ভাবায়। আশেপাশের মানুষকে নিয়ে ভাবায়।
বানান শুদ্ধ করার ক্ষেত্রে বইয়ের তুলনা নেই
আমরা বাংলাদেশি। আমাদের ভাষা বাংলা। আমাদের নিজেদের ভাষা শুদ্ধ বলতে ও লিখতে পারা আমাদের একান্ত প্রয়োজন। আর শুদ্ধ বানান চর্চা ও শুদ্ধ ভাষা চর্চার ক্ষেত্রে বইয়ের তুলনা অন্য কিছু নেই। বইপড়ুয়াদের বানানে ভুল কম হয়। তারা অন্যদের তুলনায় শুদ্ধ বলায় অধিক পারদর্শী হয়ে থাকে।
বইপড়ুয়ারা স্বাপ্নিক হয়ে থাকে
মানুষ তার স্বপ্নের মতো বড়। বড় স্বপ্ন দেখে তা অর্জনের চেষ্টা করতে থাকলে একজন মানুষ সফল হয়। আর বই পড়লে মানুষের স্বপ্ন বড় হয়। এবং মানুষ তা অর্জনের চেষ্টা করতে থাকে। যখন কোনো পাঠক কোনো বিখ্যাত ব্যক্তির জীবন চরিত অধ্যয়ন করে তখন সে তাঁর মতো হওয়ার স্বপ্ন দেখে। এবং নিজেকে সেভাবে গড়ে তুলতে সচেষ্ট হয়।
শিক্ষক ছাত্রকে সোনালি মানুষে পরিণত করে
রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন শিক্ষক। আর সাহাবায়ে কেরাম ছিলেন ছাত্র। রসুল সা. থেকে শিক্ষা লাভের পূর্বে তারা ছিলো অন্ধকারে নিমজ্জিত একজাতি। কিন্তু রসুলের সাহচর্যে দিনযাপন করে তারা সোনালি মানুষে পরিণত হয়েছিলেন।
শিক্ষক ছাত্রকে ভালো কাজে অনুপ্রাণিত করেন
একজন মানুষ সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত হয় তার শিক্ষক দ্বারা। কেননা তারা নিজেদের জীবনের বিশাল একটি সময় কাটায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। শিক্ষা গ্রহণের কাজে নিয়োজিত থেকে। এক্ষেত্রে একজন আদর্শ শিক্ষককে তারা নিজেদের জীবনের আইডল বানিয়ে নেয়।
শিক্ষকের সান্নিধ্যে থাকা শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনোযোগী হয়
যে শিক্ষার্থী নিজেকে শিক্ষকের সান্নিধ্যে রাখে সে পড়াশোনায় মনোযোগী হয়। শিক্ষকের কাছে জবাবদিহিতার ভয় তাকে মনোযোগী হতে বাধ্য করে। ফলে তার সময়ে বরকত হয়। সময় অযথা নষ্ট হয় না।শিক্ষকের ব্যক্তিত্ব ছাত্রের জীবনবোধ উন্নত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে।
কিউটিভি/আয়শা/০৯ অক্টোবর ২০২৪,/বিকাল ৪:২৫






