ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিকে নিয়ে পাহাড়সম অভিযোগঃ ১০ মাসেও হয়নি কাউন্সিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম : শিক্ষক,লেখক-সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিম্যান একজনের বিদায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালে উপকৃত হবেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক- ভিসি ড.আমানুল্লাহ ফেরদৌস বাজে ব্যাটিংয়ে ফাইনাল মিস বাংলাদেশের জনস হপকিন্সের সাথে কাজ করবে বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়  মজিদা কলেজে ৪০ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ, তোলপাড় কুড়িগ্রাম খারুয়ার পাড়ে ভাঙ্গনের শব্দ থেমে যাক — বদরুদ্দীন উমর : শিরদাঁড়া বাঁকা করে বাঁকা হয়নি যার কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহবায়ক ভারতীয় নাগরিক, এনআইডি বাতিলে হাইকোর্টের রুল আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা : এইচআর হেডসহ আহত ১৫

উহুদ যুদ্ধের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট

Ayesha Siddika | আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ - ০৩:৪৫:৪৯ পিএম

ডেস্ক নিউজ : নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো অভিযান শেষ করে ফিরে আসার সময় উহুদের পাহাড় দেখে বলতেন, ‘ওই পাহাড়টা আমাদের ভালোবাসে, আমরাও তাকে ভালোবাসি।’ (বুখারি)  উহুদ শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে পৃথক, একক। যেহেতু উহুদ পাহাড় অন্যান্য পাহাড় থেকে পৃথক তাই উহুদ নামে নামকরণ করা হয়েছে।

হিজরি দ্বিতীয় বর্ষে বদর যুদ্ধে কুরাইশদের বড় বড় নেতা নিহত হয়। বদর সংঘটিত হয়েছিল একটি বাণিজ্য-কাফেলাকে কেন্দ্র করে। মক্কার মুশরিকদের আয়ের একমাত্র উৎস ছিল শামের ব্যবসা। সেখান থেকে তারা যা কামাই করত তা দ্বারা নিজেরা চলত এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে ব্যয় করত। তাই নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চাইলেন ওদের ব্যবসার পথকে বন্ধ করতে। সে উদ্দেশ্যে একটি কাফেলাকে পাকড়াও করতে গিয়ে বদর যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ওই ব্যবসায়ী কাফেলা কিন্তু নিরাপদে মক্কায় পৌঁছে ছিল। 
মক্কায় যখন বদরের সংবাদ পৌঁছে তখন সকলেই ওই ব্যবসার লাভ মুসলমানদেরকে শায়েস্তা করার জন্য দিয়ে দেয়। যার পরিমাণ ছিল প্রায় ৫০ হাজার দিনার। ওই মালের মালিকদের সম্বোধন করে তারা বলেছিল, ‘হে কুরাইশের লোকেরা, মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদের ভীষণ ক্ষতি করেছে এবং তোমাদের বিশিষ্ট নেতাদের হত্যা করেছে। সুতরাং তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে এ মালের মাধ্যমে সাহায্য করো।
সম্ভবত আমরা প্রতিশোধ গ্রহণ করতে পারব।’ কুরাইশরা তাদের এ কথা সমর্থন করে। সুতরাং সব মাল, যার পরিমাণ ছিল ১ হাজার উট এবং ৫০ হাজার স্বর্ণমুদ্রা। যুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য তা সবই বিক্রয় করে দেয়া হয়। এ ব্যাপারেই মহান আল্লাহ নিচের আয়াত অবতীর্ণ করেন,

‏‏إِنَّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا يُنفِقُوْنَ أَمْوَالَهُمْ لِيَصُدُّوْا عَن سَبِيْلِ اللهِ فَسَيُنفِقُوْنَهَا ثُمَّ تَكُوْنُ عَلَيْهِمْ حَسْرَةً ثُمَّ يُغْلَبُوْنَ‏ ‏ অর্থ: যেসব লোক সত্যকে মেনে নিতে অস্বীকার করেছে তারা আল্লাহর পথ থেকে (লোকেদেরকে) বাধা দেয়ার জন্য তাদের ধন-সম্পদ ব্যয় করে থাকে, তারা তা ব্যয় করতেই থাকবে, অতঃপর এটাই তাদের দুঃখ ও অনুশোচনার কারণ হবে। পরে তারা পরাজিতও হবে।’ (সুরা আনফাল, আয়াত: ৩৬)

নতুন নেতা নির্বাচন করা হয় আবু সুফিয়ানকে। আবু সুফিয়ান দায়িত্ব গ্রহণ করেই প্রত্যেক গোত্রে দূত পাঠিয়ে দিল। বার্তা হচ্ছে, প্রত্যেক গোত্রের নওজোয়ান বাহাদুররা যেন এই যুদ্ধে মুসলমানদের বিরুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। আবু সুফিয়ানের এই আহ্বানে ব্যাপক সাড়া পড়ে। 

 

 

কিউটিভি/অনিমা/১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪,/বিকাল ৩:৪৪

▎সর্বশেষ

ad