ব্রেকিং নিউজ
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিকে নিয়ে পাহাড়সম অভিযোগঃ ১০ মাসেও হয়নি কাউন্সিল সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম : শিক্ষক,লেখক-সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিম্যান একজনের বিদায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালে উপকৃত হবেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক- ভিসি ড.আমানুল্লাহ ফেরদৌস বাজে ব্যাটিংয়ে ফাইনাল মিস বাংলাদেশের জনস হপকিন্সের সাথে কাজ করবে বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়  মজিদা কলেজে ৪০ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ, তোলপাড় কুড়িগ্রাম খারুয়ার পাড়ে ভাঙ্গনের শব্দ থেমে যাক — বদরুদ্দীন উমর : শিরদাঁড়া বাঁকা করে বাঁকা হয়নি যার কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহবায়ক ভারতীয় নাগরিক, এনআইডি বাতিলে হাইকোর্টের রুল আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা : এইচআর হেডসহ আহত ১৫

শারীরিক সুস্থতায় নবীজির পালনীয় সুন্নাহ

Ayesha Siddika | আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২৪ - ০৬:০৯:৫২ পিএম

ডেস্ক নিউজ : আল্লাহ তাআলা বলেন, আপনি বলে দিন, তোমরা যদি আল্লাহকে ভালোবেসে থাকো, তবে আমার অনুসরণ করো, তাহলে আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের পাপরাশি ক্ষমা করবেন। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

এ বিষয়ে আল্লাহতায়ালা কোরআনে কারিমে বলেন করেন, যে রসলের আনুগত্য করলো সে প্রকৃতপক্ষে আল্লাহরই আনুগত্য করলো। (সুরা আন নিসা: ৮০)
পৃথিবীতের শারীরিক সুস্থতার জন্য নবীজির সুন্নাহগুলো খুবই উপকার করে। আজ এ বিষয়েই কথা বলবো। মহানবী রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নতগুলো শুধু পরকালীন মুক্তির জন্য নয়; বরং ইহকালেও তা মানুষের জন্য সবিশেষ উপকারী। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে শারীরিক সুস্থতার জন্য কিছু কাজ নিয়মিত করতেন।

নিয়মিত হাঁটা

হাঁটা ও শরীরচর্চা করা আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের নির্দেশনা অনুযায়ী শারীরিক সুস্থতার অন্যতম প্রধান উপাদান। রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১৪০০ বছর আগে এ বিষয়ে উম্মতকে দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, 

আমি রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চেয়ে দৃঢ় পদক্ষেপে দ্রুত চলতে আর কোনো ব্যক্তিকে দেখিনি।

যেন তার জন্য জমিনকে গুটানো হতো। তার সঙ্গে পথ চলতে আমাদের প্রাণান্তকর অবস্থা হতো, আর তিনি অনায়াসে চলতে পারতেন। (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৬৩০৯)

মসজিদে কুবা মদিনা থেকে কয়েক মাইল দূরে অবস্থিত। মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রায় হেঁটে মসজিদে কুবায় যেতেন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, নিশ্চয়ই রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদে কুবায় আসতেন কখনো আরোহী হয়ে, কখনো হেঁটে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১১৯৪)

শারীরিক পরিশ্রম করতে অলসতা না করা

কায়িক পরিশ্রম শরীরিক সুস্থতার অন্যতম কার্যকরী মাধ্যম। শারীরিক পরিশ্রম করা নবীদের অনুসৃত সুন্নত। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.)-কে প্রশ্ন করা হলো, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘরে কী করতেন? জবাবে তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাপড় সেলাই করতেন এবং নিজের জুতা নিজেই ঠিক করতেন। (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৫৬৭৭)।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, 

আল্লাহ তাআলা এমন কোনো নবী প্রেরণ করেননি, যিনি ছাগল চরাননি। তখন সাহাবিরা প্রশ্ন করেন, আপনিও? তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমি কয়েক কিরাতের (মুদ্রা) বিনিময়ে মক্কাবাসীদের ছাগল চরাতাম। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২১১৯)

হজরত মিকদাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর নবী দাউদ (আ.) নিজের হাতের উপার্জনে আহার করতেন। (সহিহ বুখারি ২০২৭)

শেষ রাতে জেগে ইবাদত করা

রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমাদের রাতের সালাত (তাহাজ্জুদ) আদায়ে অভ্যস্ত হওয়া উচিত। কেননা, এটা হলো তোমাদের পূর্ববর্তী নেককারদের অনুসৃত রীতি। রাতের সালাত আল্লাহর নৈকট্যলাভ ও গুনাহ থেকে বাঁচার উপায়, মন্দ কাজের কাফ্ফারা ও শারীরিক রোগের প্রতিরোধক। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৪৯)

রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,যে ব্যক্তি দিনে-রাতে ১২ রাকাত সুন্নতে মুয়াক্কাদা নামাজ পড়ে, তার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি বানানো হয়। ১২ রাকাত নামাজ হলো, জোহরের আগে চা০০র রাকাত এবং পরে দুই রাকাত, মাগরিবের পরে দুই রাকাত, এশার পরে দুই রাকাত এবং ফজরের আগে দুই রাকাত। (মুসলিম)

পরিমিত আহার করা

মানুষ সাধারণত রোগাক্রান্ত হয় খাদ্য ও পানীয়ের দ্বারা। সে হিসেবে সব রোগের মূল কেন্দ্রস্থল মানুষের পেট। তাই খাদ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে পরিমিত মাত্রায় খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। ইসলাম এ বিষয়ে মধ্যম পন্থা অবলম্বন করতে নির্দেশ দিয়েছে এবং অতিভোজন করতে নিরুৎসাহিত করেছে। কারণ মাত্রাতিরিক্ত ভোজন ডায়াবেটিসের অন্যতম কারণ।

এ রোগের ফলেই মানুষের হার্ট, কিডনি, চোখ, দাঁত, নার্ভ সিস্টেমসহ সব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস হতে থাকে। সুতরাং ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত থাকতে হলে বিশ্বনবীর ফর্মুলাই আরোগ্য থাকার অন্যতম উপায়। হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, রসুলে আকরাম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, পেটের এক-তৃতীয়াংশ খাদ্য দিয়ে, এক-তৃতীয়াংশ পানীয়ের জন্য এবং এক-তৃতীয়াংশ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য খালি রাখবে। (সুনানে ইবনে মাজাহ)।

 

কিউটিভি/আয়শা/২৮ অগাস্ট ২০২৪,/সন্ধ্যা ৬:০৫

▎সর্বশেষ

ad