ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নাকি দেশে প্রত্যাবর্তন, কোন দিকে যাচ্ছেন হাসিনা

Ayesha Siddika | আপডেট: ২৫ আগস্ট ২০২৪ - ০৭:৪৮:০০ পিএম

ডেস্ক নিউজ : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারত গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজনৈতিক আশ্রয়ের পরিবর্তে কূটনৈতিক পাসপোর্টের মাধ্যমে ভারতে অবস্থান করছেন তিনি। তবে সম্প্রতী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে লাল পাসপোর্ট বাতিল ঘোষণার মাধ্যমে শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্টও বাতিল হয়ে গেছে।

পাসপোর্ট ছাড়া শেখ হাসিনা কতদিন ভারতে থাকবে তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলেছে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত সংশোধিত ট্রাভেল অ্যারেঞ্জমেন্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই ৪৫দিন পর্যন্ত ভারতে থাকতে পারবে।

এই চুক্তির আলোকেই ভিসা ছাড়াই ভারতে অবস্থান করছিল শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে ২০দিন থেকেছেন। এই চুক্তির আলোকে তিনি আর ২৫দিন থাকতে পারবেন। দেশ থেকে ভারত যাওয়ার পর তিনি ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ও চাননি। কিন্তু কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল হওয়ার কারণে শেখ হাসিনা এই বর্তমানে এই চুক্তির আলোকেও অবস্থান করার সুযোগ নেই। ভারত তাকে কোন হিসেবে আশ্রয় দিচ্ছে তা নিয়ে কোনো তথ্যই দেয়নি দিল্লি। এমনকি শেখ হাসিনাকে ভারত কোন স্থানে রেখেছে তা নিয়েও কোনো তথ্য প্রদান করেনি।

সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস উল্লেখ করেছে, ভারত শেখ হাসিনাকে দিল্লির উপকণ্ঠে আধা সামরিক বাহিনীর অতিথিশালায় রেখেছে। হিন্দুস্তান টাইমস আরো জানিয়েছে, বাংলাদেশ-ভারতের বহিঃসমর্পণ চুক্তির আওতায় স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে বাংলাদেশ যদি শেখ হাসিনাকে ফেরত চায় তখন ভারত যদি মনে করে শেখ হাসিনা দণ্ডনীয় অপরাধ করেছে তাহলে তারা শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে পারে।

ফার্স্টপোস্টের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস আরো উল্লেখ করেছে, শেখ হাসিনা এতদিন ভারতে বিশ্বস্ত বন্ধু ছিল। তবে তার জন্য দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার প্রবণতা বেশি। এরূপ আবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেন শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে আনুষ্ঠানিক কোনো অনুরোধ না করে সেজন্য কূটনৈতিক পথ বেছে নিবে ভারত।

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কারের জন্য সৃষ্ট আন্দোলন এক পর্যায়ে সরকার পতনের আন্দোলনের রূপ নেয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা লং মার্চ ডাকে। ঐদিন করফিউ জারি থাকা সত্ত্বেও দুপুর হওয়ার সাথে সাথে ঢাকার রাস্তায় নেমে আসে লাখ লাখ ছাত্র-জনতা। এরপর র‌াষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ করে সেনবাহিনীর বিশেষ সহায়তায় হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। এসময় তার সাথে শেখ রেহেনাও ছিল। ভারত আশ্রয়ের পর লন্ডনের রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদনের জোর গুঞ্জন চলছিল। তবে এক পর্যায় লন্ডন রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার আবেদন প্রত্যাখান করেছেও বলে জানা যায়। যদিও শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছে শেখ হাসিনা এখনো পর্যন্ত কোনো দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়ার আবেদন জানানি।

 

 

কিউটিভি/আয়শা/২৫ অগাস্ট ২০২৪,/সন্ধ্যা ৭:৪৪

▎সর্বশেষ

ad