
ডেস্ক নিউজ : অনেকে মেজাজ হারিয়ে বিভিন্ন প্রাণী ও জিনিসকে গালি দেয়। এটাও ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। গালি দেয়া নিষেধ এমন তিনটি জিনিস উল্লেখ করা হলো।
সুস্থতা-অসুস্থতা মহান আল্লাহর দান। উভয়টি দিয়ে মহান আল্লাহ পরীক্ষা করেন। অসুস্থতাকে গালি দেয়া নিষেধ। হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার উম্মে সায়েব কিংবা উম্মে মুসাইয়িবের কাছে প্রবেশ করে বলেন, ‘হে উম্মে সায়েব বা উম্মে মুসাইয়িব, তোমার কী হয়েছে যে থরথর করে কাঁপছ?’ সে বলল, ‘জ্বর হয়েছে, আল্লাহ তাতে বরকত না দেন।’ এই কথা শুনে তিনি বললেন, ‘জ্বরকে গালি দিও না। জ্বর তো আদমসন্তানের পাপ মোচন করে। যেমন হাপর লোহার ময়লা দূর করে।’ (মুসলিম: ৬৭৩৫)
সময়কে গালি দেয়া নিষেধ
সময়ও মহান আল্লাহর দান। একে গালি দেয়া নিষেধ। হজরত আবু হুরায়য়া (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসে কুদসিতে বলেন, ‘আমাকে আদমসন্তান কষ্ট দিয়ে থাকে। কারণ, তারা যুগ বা সময়কে গালি দেয়। অথচ আমিই যুগ বা সময়। কেননা আমার হাতেই সব বিষয়। আমিই রাত ও দিনের পরিবর্তন ঘটাই।’ (বুখারি: ৬৯৮৩)
বাতাস মহান আল্লাহর সৃষ্টি। একেও গালি দেয়া নিষেধ। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘বাতাস আল্লাহর এক হুকুম, তা কখনও রহমত নিয়ে আসে, আবার কখনও আজাব নিয়ে আসে। তুমি যখন বাতাস দেখবে তখন তাকে গালি দেবে না। বরং মহান আল্লাহর কাছে এর থেকে কল্যাণ কামনা করবে এবং এর অকল্যাণ থেকে তার আশ্রয় চাইবে।’ (আবু দাউদ: ৫০৯৭)
কিউটিভি/আয়শা/২৪ জুলাই ২০২৪,/রাত ১০:২৩