
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার ইসরাইলের ফিলিস্তিনি হত্যার বিরল এই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার কথায় ‘ওই বোমার আঘাতে এবং অন্যভাবে গাজায় ফিলিস্তিনি বেসামরিক মানুষ মারা গেছেন।’
গাজার শহর রাফায় ইসরাইল বড় ধরনের স্থল অভিযান চালালে যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেবে বলেও সতর্ক করেছেন বাইডেন। তিনি বলেছেন, তারা যদি রাফায় হামলা চালায়, তাহলে সেখানে এখন পর্যন্ত যে ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে এমন অস্ত্র আর আমরা সরবরাহ করব না।
গাজা উপত্যকায় গত সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসন ও গণহত্যায় শুরু থেকেই সব রকমের সহযোগিতা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে চলতি সপ্তাহে প্রথমবারের জন্য ইসরাইলে কয়েক হাজার বোমার চালান আটকে দিয়েছে। ভবিষ্যতে সরবরাহের বিষয়টি তারা পর্যালোচনায় রাখছে।
গত বুধবার (৮ মে) মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন সিনেটের সামনে সাক্ষ্য দেয়ার সময় পশ্চিমা সামরিক অস্ত্রাগারের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক কিছু অস্ত্র ও বোমার চালান সরবরাহ বিলম্বের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপে হতাশা প্রকাশ করেছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার। যুক্তরাষ্ট্র যে অস্ত্র সরবরাহ আটকে রেখেছে তা ভবিষ্যতে সরবরাহের জন্য। ফলে এই পদক্ষেপের কারণে তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা কম বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু ইসরাইল যে হারে এখন বোমাবর্ষণ করছে তাতে নিকট ভবিষ্যতের হামলাগুলোতেই এর প্রভাব পড়বে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, দুই দেশ এসব মতবিরোধ ‘বন্ধ দরজার আড়ালে’ সমাধান করবে। গাজায় অনবরত বেসামরিক লোকের মৃত্যু ও মানবিক পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হওয়ায় ইসরাইলি অভিযানে লাগাম দিতে ডেমোক্র্যাট ও যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের একাংশের অভ্যন্তরীণ চাপের মুখে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
এদিকে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বৃহস্পতিবার (৯ মে) ২১৬তম দিনে গড়িয়েছে। এদিন রাত ও দিনভর দক্ষিণ গাজার রাফাসহ উপত্যকাজুড়ে বোমাবর্ষণ করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে নতুন করে অনেকেই হতাহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ হাজার ৯০৪ জনে দাঁড়িয়েছে। আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৮ হাজার ৫১৪ জনে। এদিকে নির্বিচার বোমা হামলার কারণে রাফাহ ছাড়ছেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি।
কিউটিভি/আয়শা/০৯ মে ২০২৪,/রাত ১০:২৩